দাম্পত্য জীবনের এগারো বছর পূর্ণ করলেন অনন্ত-বর্ষা

দুই ছেলে আবরার ইবনে জলিল ও আরিজ ইবনে জলিলসহ অনন্ত-বর্ষা

দাম্পত্য জীবনের এগারো বছর পূর্ণ করলেন অনন্ত-বর্ষা

আতাউর রহমান কাবুল

২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আলোচিত তারকা দম্পতি চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা। এরপর তাদের ঘর আলো করে ২০১৪ সালে আসে আরিজ ইবনে জলিল ও ২০১৭ সালে আবরার ইবনে জলিল। দেখতে দেখতে তাদের বিবাহিত জীবনের ১১টি বছর পার হয়ে গেল। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর এগারোতম বিবাহবার্ষিকীতে নিউজ টোয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে এই তারকা দম্পতিকে অভিনন্দন।

শুভ বিবাহবার্ষিকী অনন্ত-বর্ষা।

দেশীয় শোবিজ জগতে সফল তারকা জুটির সংখ্যা কম নয়। তবুও মাঝে মাঝেই পাওয়া যায় বিচ্ছেদের খবর। মাস, বছর না পেরুতেই অনেকে নানা কলহে জড়িয়ে যান, অনেকের দাম্পত্য জীবনে ফাঁটল ধরে।

তবে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল বর্ষার দাম্পত্য জীবন একটু আলাদাই বলা যায়। একের পর এক নতুন সিনেমা রিলিজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক দায়িত্ব পালনের মাঝেও গত এগারোটি বছর ধরে তাদের দাম্পত্য জীবন কাটছে ভালোই। দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখের সংসার তাদের।  

প্রতিবছর বিবাহবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই দম্পত্তির থাকে আলাদা আয়োজন। সাধারণত এই সময়টিতে তারা বিদেশে থাকেন সপরিবারে। এবারও এই দম্পতি অবস্থান করছেন দুবাইয়ে। জানা গেছে, সেখানে নিজেদের মতো করে সময় কাটাবেন তারা, বিবাহবার্ষিকী পালন করবেন। সঙ্গে রয়েছে তাদের দুই সন্তান।

দুই সন্তানসহ দুবা্ইয়ের উদ্দেশ্যে বিমানে অনন্ত-বর্ষা

বিবাহবার্ষিকীর এই দিনটিতে দুবাই থেকে দোয়া চেয়েছেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। নিউজ টোয়েন্টিফোরকে তারা বলেন, ‘আমাদের বিবাহিত জীবনের এগারটি বছর পূর্ণ হয়ে গেলো। সকলের দোয়ায় আমরা ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। ’ 

এর আগে সংবাদ মাধ্যমে বর্ষার সঙ্গে প্রেম আর বিয়ে নিয়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমাদের বিয়ে হয়েছে ২০১১ সালে। তবে আমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয় ২০০৮ সালে। ’ স্ত্রী বর্ষার উদ্দেশ্যে অনন্ত জলিল বলেছেন, ‘ভালোবাসি তোমাকে। ভালোবাসি শেষ পর্যন্ত। ’ আর বর্ষা জানান, তিনিই প্রথম অনন্ত জলিলকে ভালোবাসার কথা বলেছিলেন।

বর্ষাকে বিয়ের পর নিজের অনেক কিছুই পাল্টে যায় অনন্ত জলিলের। বলেছেন, ‘অফিস থেকে এক সেকেন্ডের জন্য অন্য কোথাও যাই না। বর্ষার সঙ্গে যখন থেকে প্রেম শুরু করেছি, তখন থেকে অফিস থেকে সরাসরি ওর কাছে চলে আসি। একা কোথাও যাই না। দুজন দুজনের প্রতি দায়িত্বশীল। সামাজিকতা রক্ষার চেষ্টা করি। সবকিছু মিলেমিশে করি। এটাই আমাদের ভালোবাসার রসায়ন। ’

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নিজের প্রযোজিত ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে নায়ক হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অনন্ত জলিলের। এরপর ‘হৃদয়ভাঙা ঢেউ’ (২০১১), ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ (২০১২), ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ (২০১৩) ও ‘মোস্ট ওয়েলকাম ২’ (২০১৪) ছবিতে তারা অভিনয় করেছেন। এই জুটি ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন অনন্ত জলিল।  

news24bd.tv/desk