ঢাবিতে ডিজঅ্যাবিলিটি ও প্রযুক্তি শীর্ষক বিশেষ সেমিনার

সংগৃহীত ছবি

ঢাবিতে ডিজঅ্যাবিলিটি ও প্রযুক্তি শীর্ষক বিশেষ সেমিনার

অনলাইন ডেস্ক

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যোগাযোগে অসঙ্গতি আছে এমন মানুষদের যোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কীভাবে ভূমিকা রাখছে বা ভবিষ্যতে রাখতে পারে সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সঙ্গতি রেখে কীভাবে নিজেকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করা যায় সে বিষয়ে ধারণা দিতে কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ এ আয়োজন করে।

ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দুইজন শিশুর নৃত্য পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং AIMS ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. খন্দকার আ. মামুন।

 

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিসমূহ আয়ত্ত্ব ও ব্যবহারের মাধ্যমে বর্ধনশীল এবং বিকল্প যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভাষিক যোগাযোগে অপারগতা আছে এমন ব্যক্তিদের যোগাযোগ সক্ষমতা ত্বরান্বিত করে।  

উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় সকল শ্রেণির মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী। তাই যাদের ভাষিক সীমাবদ্ধতা আছে তাদের যোগাযোগ সক্ষমতা উন্নত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ বদ্ধপরিকর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরদার এ. নাঈম বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা কোনোভাবেই সমাজের জন্য বোঝা হতে পারে না।

বরং তারা আশীর্বাদ হয়ে আমাদের মাঝে এসেছেন। অভিভাবক প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান সরদার এ. রাজ্জাক।  

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান অতিথিবৃন্দের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার পাশাপাশি বলেন, যে সমস্ত মানুষের যোগাযোগে অক্ষমতা রয়েছে তাদের সেবা ও চাহিদা পূরণে কীভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও ত্বরান্বিত করা যায় তার জন্য কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ কাজ করে যাবে।

news24bd.tv/আজিজ