দেশ ছাড়ছেন রুশ পুরুষরা

সংগৃহীত ছবি

দেশ ছাড়ছেন রুশ পুরুষরা

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনে সৈন্য বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামাদির পুতিন। এরপরই রুশ পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানায় রুশ কর্তৃপক্ষ। তবে তারপর থেকেই সীমান্তে ভিড় করছেন দেশটির পুরুষরা। যুদ্ধে যোগ না দিতেই দেশ ছাড়ছেন তারা।

খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর থেকেই রাশিয়ার পুরুষরা দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন। যুদ্ধে যোগ না দিতেই দেশটির সীমান্তে ভিড় করছেন তারা।

তবে পুরুষদের পালিয়ে যাওয়ার খবরটি অতিরঞ্জিত বলে দাবি রুশ কর্তৃপক্ষের।

গত বুধবার পুতিন ‘আংশিক সেনা সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই আংশিক সেনা সমাবেশে তিন লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হবে। এরপরেই এমনটি হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, জর্জিয়া সীমান্ত সড়কে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ি জমেছে। ওইসব গাড়িতে থাকা বেশিরভাগই যুদ্ধের বয়সী পুরুষ। যুদ্ধে যাওয়া এড়াতেই তারা পালানোর চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে সীমান্তে থাকা এক রুশ নাগরিক বিবিসিকে জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার পরপরই কোনো কিছু না গুছিয়ে শুধুমাত্র পাসপোর্টটি নিয়ে তিনি সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছিলেন। কারণ তিনি এমন একটি দলে পড়েছিলেন যাদের সম্ভবত যুদ্ধে পাঠানো হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, জর্জিয়া সীমান্তের আপার লার্স চেকপয়েন্টে গাড়ির সারি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মতো বিস্তৃত হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের আরেকটি দল জানিয়েছেন, জর্জিয়া সীমান্ত পাড়ি দিতে তাদের প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে।  

সীমান্তের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জ্যামের কারণে বেশ কয়েকজন গাড়ির চালক তাদের প্রাইভেটকার ও ট্রাকের ইঞ্জিন বন্ধ করে যানগুলো থেকে বের হয়ে আসে।

ভিসা ছাড়াই জর্জিয়ায় যেতে পারেন রুশরা। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় এক হাজার ৩০০ কিলোমিটারের সীমান্ত থাকা ফিনল্যান্ডেও ভিড় বেড়েছে। তবে দেশটিতে ঢুকতে রুশদের ভিসার প্রয়োজন হয়।

এ দিকে রাশিয়ায় উড়োজাহাজের মাধ্যমে পৌঁছানো যায় এমন গন্তব্যগুলোর টিকেটের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। তুর্কি সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ভিসা ছাড়া রুশরা প্রবেশ করতে পারবে এমন গন্তব্যগুলোর উড়োজাহাজের টিকেটের দাম অনেক বেড় গেছে। অনেক জায়গার টিকেট শেষও হয়ে গেছে। যেসব টিকেটে অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলোর জন্য হাজার হাজার ইউরো খরচ করতে হতে পারে রুশদের।

এ দিকে পালিয়ে আসা রুশদের তার দেশে স্বাগত জানানো হবে বলে বৃহস্পতিবার ইঙ্গিত দিয়েছেন জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ভিন্ন সুর রুশ লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র সরকারের। পালিয়ে আসা রুশদের আশ্রয় দেবে না বলে জানিয়েছে তারা।

এ দিকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়ার আহ্বানের পরই মস্কো, সেন্ট পিটাসবার্গসহ  রাশিয়ার প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভ দেখা গেছে। এসব বিক্ষোভ থেকে এক হাজার ৩০০ রুশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃত অনেককে যুদ্ধে অংশ নেয়ার খসড়া দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ সম্পর্কে জানতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘এটি করা আইনের বিরুদ্ধে নয়। ’

news24bd.tv/মামুন