এবার ইরানি পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি যুক্তরাষ্ট্রের
এবার ইরানি পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি যুক্তরাষ্ট্রের

সংগৃহীত ছবি

এবার ইরানি পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক

হিজাব ইস্যুতে ইরানের পুলিশ কাস্টডিতে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর ঘটনায় দেশটির সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু পুলিশ বাহিনী সেই বিক্ষোভকারীদের দমন-নিপীড়ন শুরু করে।  এই দমন-নিপীড়ন ও পুলিশের হেফাজতে মাহসার মৃত্যুর ঘটনায় ইরানি পুলিশ বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ইরানি নিরাপত্তা ও নৈতিক পুলিশের সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই সাত কর্মকর্তর বিরুদ্ধে দেশটির রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, নারী অধিকার কর্মী, বাহাই সম্প্রদায় এবং প্রতিবাদকারীদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।  

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেন, মাহসা আমিনি একজন সাহসী নারী ছিলেন। তিনি ইরানের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু বরণ করেছেন।

এটি জনগণের বিরুদ্ধে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও একটি বর্বর কর্ম।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সে দেশের সরকারকে নারীর প্রতি সহিংসতা, স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সমাবেশে চলমান সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানাই।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও রয়েছেন, ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের মন্ত্রী ঈসমাইল খতিব, বাসিজ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক সালার আবনুশ, আইন প্রয়োগ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক কাসেম রেজাই, ওই বাহিনীর প্রাদেশিক বাহিনী মানুশের আমানুল্লাহি এবং ইরানি সেনার স্থলবাহিনীর কমান্ডার কিউমার্স হেইদারি।
 
যদিও ইরানি কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে। বরং মাহসা স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়। তবে মাহসার পরিবার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

তেহরানের পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল হোসেইন রাহিমি গত সোমবার বলেন, মাহসা আমিনি টাইট ট্রাউজার এবং মাথায় স্কার্ফ ভুলভাবে পরার জন্য আটক করে পুলিশ। তবে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

news24bd.tv/হারুন