কাবুলে মসজিদের কাছে বিস্ফোরণ, নিহত ৪
কাবুলে মসজিদের কাছে বিস্ফোরণ, নিহত ৪

সংগৃহীত ছবি

কাবুলে মসজিদের কাছে বিস্ফোরণ, নিহত ৪

অনলাইন ডেস্ক

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পরপরই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

খবর রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়, রাজধানী ওয়াজির আকবর খান এলাকায় জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা যখন ওই মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই বিস্ফোরণটি ঘটে।

স্থানীয় একটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে পৌঁছানোর পরপরই চারজনের মৃত্যু হয়।

বর্তমানে তালেবান নিয়ন্ত্রিত ওয়াজির আকবর খান এলাকাটিকে সুরক্ষিতই বলা যায়। যুদ্ধের দিনগুলোতে ন্যাটো ও বিদেশি দূতাবাসগুলো এ এলাকাতেই ছিল।  

কাবুল পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জারদান বলেছেন, নামাজের পর লোকজন যখন মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে হতাহতের সবাই বেসামরিক। তবে সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

কাবুলে জুমার নামাজে আসা মুসল্লিদের টার্গেট করে বোমা হামলার সবশেষ ঘটনা এটি। এসব বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায়ই জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করে। তবে শুক্রবারের ঘটনায় এখনও কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।  

ওয়াজির আকবর খানের এ মসজিদ অতীতেও হামলার শিকার হয়েছে। তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে ২০২০ সালের জুনে মসজিদটিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ঘটনায় মসজিদের ইমাম নিহত ও বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হন।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর গত এক বছরেও বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আগের চেয়ে হামলার সংখ্যা কমেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি হামলার ঘটনা।  

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হেরাত শহরের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবানের খ্যাতনামা এক ধর্মীয় নেতাসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হন। এরপর কাবুলে রুশ দূতাবাসের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট কাবুলে একটি মসজিদে বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তালেবান ধর্মীয় নেতা ও ওই মসজিদের ইমাম মোল্লা আমির মোহাম্মদ কাবুলিও ছিলেন।

news24bd.tv/আলী