নিহত যুবদলকর্মী সাওনের দাফন সম্পন্ন

সংগৃহীত ছবি

নিহত যুবদলকর্মী সাওনের দাফন সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক

মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম সাওনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা দিকে নিজ বাড়ি সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার জামে মসজিদ জানাজা শেষে স্থানীয় সামাজিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক শতাধিক মানুষ ও বেশকিছু পুলিশ সদস্য উপস্তিত ছিলেন।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মরদেহ নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।

এসময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশের পরিবেশ।

অন্যদিকে, সাওনের বাড়িতে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেখানে বিএনপি সাওনের পরিবারের দায়িত্ব নেবে জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাওনের মতো অন্যায়ভাবে যাদের হত্যা করা হয়েছে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। সাওন জীবন দিয়েছে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য।

গণতন্ত্রের যে কর্মসূচি, মানুষের পক্ষের যে কর্মসূচি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে সে বিএনপির কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার আত্মদান দেশবাসী ভুলবে না। দল তার পরিবারের দায়িত্ব নেবে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাওন সবার বড়। সৎ মা লিপি বেগমের কাছে বড় হয়েছে সাওন। গত বছর বিয়ে করেছেন। তার আট মাসের সাহাত নামের এক সন্তান রয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতো না। প্রতিদিনের উপার্জনেই চলতো সংসার সাওনের সংসার।

গত বুধবার মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদলকর্মী সাওন মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সাওন পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং দলীয় নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ শহরের অদূরে মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

news24bd.tv/আলী