পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু নিয়ে উত্তাল ইরান। দেশটির ৫০টি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইরান সরকার। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের ওপর থেকে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, পুলিশি হেফাজতে নারীর মৃত্যু নিয়ে ইরানে চলা বিক্ষোভের সমর্থনে দেশটির ওপর থেকে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরানি জনগণকে যেন বিচ্ছিন্ন ও অন্ধকারে রাখা না হয় তা নিশ্চিতে আমরা সাহায্য করতে যাচ্ছি। ’
সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত এই ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ইরানে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে।
গত সপ্তাহে পুলিশি হেফাজতে মারা যায় ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি। তার মৃত্যু নিয়ে চলা বিক্ষোভে ইরানে অন্তত ৩৫ জন মারা গেছে। ইরানের নৈতিকতা পুলিশের মারধরে আমিনির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে দেশটির পুলিশ বলছে, আমিনির সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার কিংবা মারধর করা হয়নি। হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরানিদের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ইন্টারনেট বিধিনিষেধের আংশিক শিথিল করা হচ্ছে। ইরানি সরকার তাদের লোকজনকে নিয়েই ভয় পাচ্ছে। ’
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলছে, আমাদের এই পদক্ষেপ ইরানি জনগণের ওপর তেহরানের নজরদারির প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।
ট্রেজারি দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জনগণকে নজরদারির জন্য তেহরানের প্রচেষ্টা মোকাবিলায় ইরানের মানুষকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র। সাহসী ইরানিরা মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির মানুষের কাছে তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য তার সমর্থন দ্বিগুণ করছে। ’
এ দিকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এক টুইট বার্তায় জানান, তিনি ইরানে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের জন্য স্টারলিঙ্ককে সক্রিয় করবেন।
news24bd.tv/মামুন