পুরো সেপ্টেম্বর জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪০ জন। এ নিয়ে সারাদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক হাজার ৬২৮ জন। চলতি সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ একদিনে ৫ জন মারা যাওয়ার পরই ডেঙ্গু ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর বা উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে সহজেই নিরাময় সম্ভব। আর হটস্পট চিহ্নিত করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করার পরামর্শ কীটতত্ত্ববিদদের।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের বেড়ে ৫ বছরের সাফওয়ান। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুরন্তপনা ছেলেটি আটকে আছে হাসপাতালের চৌহদ্দিতে।
পাশের বিছানায় মশারির মধ্যে শুয়ে আছেন দুই বোন মাইমুনা আর আয়াত। দু’জনই ডেঙ্গু আক্রান্ত। রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের এমন গল্প যেন বাড়ছেই। এখানেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক হাজার ৬২৮ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৪০ জন। মারা গেছেন ৫০ জন।
চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ রোগী জটিল অবস্থায় হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়। তাতে বাড়ে মৃত্যুর শঙ্কা। জ্বর বা যেকোনো উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ তাদের।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান জানান, শেষ সময়ে না এসে উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আসাতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদে ডেঙ্গু প্রকোপ কমাতে হটস্পট চিহ্নিত করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদারের পরামর্শ দেন কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।
ডেঙ্গু চিকিৎসায় সারাদেশে বিশেষ ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছে বড় হাসপাতালগুলো। যেখান থেকে চলতি বছরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১১ হাজার ৭৬২ জন।
news24bd.tv/ইস্রাফিল