দুই বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

দুই বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক

বান্দরবান পৌর এলাকায় ২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে শফিউল আলম নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বান্দরবানের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। রোববার বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ধর্ষণে অভিযুক্ত শফিউল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে বিজ্ঞ আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট বাচিং থোয়াই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বছরের ৪ এপ্রিল বান্দরবানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর এটি প্রথম রায়।

এডভোকেট বাচিং থোয়াই জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯ (১) বিধান অনুযায়ী আসামিকে এ সাজা দেয়া হয়।  

মামলার বিবরণে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি শিশু কন্যার পিতা দেলোয়ার হোসেন তার ২ বছরের শিশু কন্যাকে বাড়িতে মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী শফিউল আলমের কাছে দেয়।

কিন্তু সে তাকে মায়ের কাছে পৌঁছে না দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশু কন্যাটি বাড়িতে ফিরে এলে তার মা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বামীকে ঘটনা জানায়। পরে শিশু কন্যাটিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপরই শিশুর পিতা বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।  

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রিয়েল পালিত ও এসআই মিথুন সিংহ এই ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। গত বছরের ১৬ জুলাই তারা আদালতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। এরপর মামলাটি বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।  

আসামি পক্ষে কোনো কৌশুলী না থাকায় আদালত এডভোকেট মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরীকে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবি হিসেবে নিয়োগ দেয়। বিচার চলাকালে পুলিশের দেয়া ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। রোববার ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট বাচিং থোয়াই।

সাজাপ্রাপ্ত শফিউল আলম কক্সবাজার জেলার ভারুয়াখালীর বাসিন্দা। শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সুবাদে সে বান্দরবান পৌর এলাকার বালাঘাটায় বসবাস করে আসছিল। রায় ঘোষণার পর তাকে বান্দরবান কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

news24bd.tv/কামরুল