লক্ষ্মীপুরে সম্মাননা পেলেন ১৩ জন গুণী শিল্পী

লক্ষ্মীপুরে সম্মাননা পেলেন ১৩ জন গুণী শিল্পী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে তিন বছরে (২০১৪-২০১৫ ও ২০২৬ সাল) জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সম্মাননা (ক্রেস্ট, নগদ টাকা, সনদ ও উত্তরীয়) পেয়েছেন স্থানীয় ১৩ জন গুণী শিল্পী। লক্ষ্মীপুর শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের টাউন হলে এ সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৬ জন শিল্পী প্রয়াত হওয়ায় তাদের পক্ষে পরিবারের লোকজন সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।

শুরুতেই তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এর আগে সম্মাননা প্রাপ্তদের জীবনী পাঠ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম এর সভাপতিত্বে জেলা কালচারাল কর্মকর্তা কামরান হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া।

সম্মাননা পেলেন যারা:-
২০১৪ সালে কণ্ঠ সংগীতে প্রয়াত বাবু যদু গোপাল দাস, যন্ত্র সংগীতে রাধেশ্যাম পাটোয়ারী, নাট্যকলায় প্রয়াত প্রদীপ কুমার পাল, আবৃত্তিতে এস এম জাহাঙ্গীর, লোকসংগীতে প্রয়াত মো আলি হায়দার পাটোয়ারী।

২০১৫ সালে কণ্ঠ সংগীতে প্রয়াত অলক কুমার কর, যন্ত্রসংগীতে বেনী মাধপ মজুমদার, নাট্যকলায় বিশ্বনাথ সাহা, লোকসংগীতে নিজামুল ইসলাম।

২০১৬ সালে কণ্ঠ সংগীতে হোসেন বয়াতী, কণ্ঠ শিল্পীতে ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, যন্ত্র সংগীতে অঞ্জন দাস, নাট্যকলায় প্রয়াত স্বপন চক্রবর্তী, ফটোগ্রাফিতে প্রয়াত বিধু ভূষণ দাস বাচ্চু।

এদিকে অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে কালচারাল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে এমন একটি আয়োজনে লোক সমাগম তেমন ছিলো না বললেই চলে। যার কারণে জেলা প্রশাসককে উত্তরীয় দিতে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেননি, জেলা প্রশাসকও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে জানান অন্যান্য শিল্পীরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর কালচারাল কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) কামড়ান হোসেন অনুষ্ঠান নিয়ে অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক