রুপিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আগ্রহী রাশিয়া, ইরান

সংগৃহীত ছবি

রুপিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আগ্রহী রাশিয়া, ইরান

অনলাইন ডেস্ক

ভারত সম্প্রতি রুপিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য বাণিজ্য নীতি সংশোধন করেছে। মার্কিন ডলারের অস্থিরতা এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত এই নীতি সংশোধন করে। আর এর ফলও পেতে শুরু করেছে দেশটি।  

ইতিমধ্যে দেশটির নতুন বাণিজ্য নীত অনুসরণ করে রুপিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জাপানের মতো দেশগুলো।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টেলিগ্রাফের এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ডলারের দর ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রভাব পড়েছে।  

তাই গত জুলাইয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রুপির ব্যবহারের বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে।

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে, বিশেষ করে রপ্তানিতে গতি আনতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গত সপ্তাহে ডলার বন্ডে সুদের হার বাড়িয়েছিল। এর ফলে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি বিনিময় হার দাঁড়ায় ৮১ দশমিক ০৩, যা এ যাবত কালে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এতে ভারতের আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে।  

তবে ভারতীয় চা শিল্প গোষ্ঠী অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীর ভট্টাচার্য জানান, রাশিয়া এবং ইরানের মতো দেশগুলো পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক অবরোধের কবলে পড়েছে। ফলে ওই সব দেশের আমদানিকারকরা রুপিতে ভারতীয় পণ্যের মূল্য পরিশোধে আগ্রহী। মূলত অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা দূর করতেই দ্বিপাক্ষীক বাণিজ্যে ভারতীয় রুপিতে পণ্যের মূল্য পরিশোধে আগ্রহী তারা।

তিনি আরও বলেন, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জাপান, শ্রীলঙ্কা এবং চীনের চা আমাদানীকারকরা ভারতীয় রুপিতে রপ্তানি মূল্য পরিশোধ করলে লাভবান হবে। কারণ মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান দাম বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার উপর প্রভাব পড়ছে।  

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর চা উৎপাদনে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। আর রপ্তানিতে ছিল চতুর্থ। ২০২১ সালে ভারত প্রায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ চা রপ্তানি করে রাশিয়ায়, যেখানে ইরানে করে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বছর এই রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে ভারতীয় অর্থনৈতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ (এসজেএম) এর সহ-আহ্বায়ক অশ্বানি মহাজন বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজের ক্ষেত্রে ভারত উচিত মার্কিন ডলারের বিকল্প মুদ্রা নীতি অনুসরণ করা। আর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা দরকার।  

সামনের বছর গুলোতে ভারতীয় মুদ্রায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে হলে আশা প্রকাশ করেন অশ্বানি মহাজন।  

news24bd.tv/হারুন