মৃত বিএনপি নেতা ও নিহত শাওন মামলার আসামি

সংগৃহীত ছবি

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ  

মৃত বিএনপি নেতা ও নিহত শাওন মামলার আসামি

অনলাইন ডেস্ক

মাস ছয়েক আগে মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাচ্চু। কিন্তু মৃত্যুর পরেও মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাটে গত বুধবারের সংঘর্ষের মামলায় তাকে আসামি করেছে পুলিশ। সংঘর্ষস্থলে না থাকলেও সাংবাদিক, জেলা ক্রীড়া সংগঠক, এমনকি ছাত্রলীগকর্মীকেও আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন ভূঁইয়া নিহতের ঘটনায় মামলা হয়নি।

ফেরিঘাট এলাকায় শ্রমিক লীগের কার্যালয় না থাকলেও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগেও মামলা হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিনহাজ-উল-ইসলাম বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আসা মিছিলের ব্যানার কেড়ে নিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলে অতিরিক্ত এসপিসহ ৩৩ পুলিশ সদস্য জখম হন। সংঘর্ষে আহত যুবদলকর্মী শাওন ভূঁইয়া পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মস্তিস্কে গুলির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের সনদে বলা হয়েছে। তাকেও আসামি করা হয় বৃহস্পতিবার দায়ের করা পুলিশের মামলায়।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিন এবং শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল মালেক বাদী হয়ে ১ হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেছেন। পুলিশের মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক আয়নাল হক স্বপন ১৪১ নম্বর আসামি।  

তিনি বলেছেন, শহরের সবাই জানে- আমি রাজনীতি করি না। খেলাধুলা নিয়ে আমার দিন কাটে। ভুল করে আমাকে আসামি করেছে। বিষয়টি জানানোর পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বুঝতে পেরেছেন।

শহরের পাঁচঘরিয়াকান্দি এলাকার হুমায়ুন কবীর দৈনিক খবরপত্রের জেলা প্রতিনিধি। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় আঙুল ভেঙে যাওয়ায় ১৫ দিন ধরে তিনি বাড়িতে। কিন্তু দুই মামলাতেই তাকে আসামি করা হয়েছে।

সদর উপজেলার ভিটিহোগলাকান্দি গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে জামাল হোসেন মালয়েশিয়াপ্রবাসী। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২১ সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তারপুরেই ছিলেন না। কিন্তু তাকেও আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের মামলায় ৩১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শ্রমিক লীগ নেতার মামলায় ৫২ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে যাঁদের নাম রয়েছে, তাদের অধিকাংশ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।

এজাহারে মৃত ব্যক্তি, ক্রীড়া সংগঠন, ছাত্রলীগকর্মীর নাম থাকার বিষয়ে ওসি মো. তারিকুজ্জামান  বলেন, সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তার ২৪ জনের তথ্যে আসামি করা হয়েছে। তারাই মৃত, প্রবাসী ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই- এমন ব্যক্তিদের নাম বলেছে। তদন্ত চলছে। যাঁরা সংঘর্ষে জড়িত নয়, তাদের বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে আদালতে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে আসামি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি।

news24bd.tv/আলী