রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনে পশ্চিমা জোটের অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক ঘোষণায় রাশিয়ার ২০ লাখ জনবল সম্পন্ন সামরিক রিজার্ভের আংশিক সমাবেশের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পরপরই ইউক্রেন জানায় তাদের আরও বেশি অস্ত্র প্রয়োজন।
রাশিয়ার ৩ লাখ সেনা সমাবেশের কথা উল্লেখ করে ইউক্রেন বলে, তাদের মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম ও ট্যাংক প্রয়োজন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই।এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উন্নত অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘর্ষে জড়াতে চায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব অস্ত্রের মজুদই কম।
জোটের অন্য চার কর্মকর্তা ব্লুমবার্গকে বলেছেন, তারা ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহের কোন সম্ভাবনা দেখছেন না।
ইতালিতে তহবিলের সংকটের ফলে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। গত জুলাই থেকে অস্ত্রের সরবরাহ কমছে।
এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে দেয়া অস্ত্র সহায়তার প্রশংসা করে ব্লুমাবার্গ বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ১৫.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা করেছে। জার্মানি ৭৩৪ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের অস্ত্র দিয়েছে।
রাশিয়া অস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করে বলেছে, পশ্চিমাদের এই অস্ত্র সরবরাহ যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করবে। আংশিক সৈন্য সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে ‘পুরো পশ্চিমা জোটের সম্মুখীন হয়েছে। ’
সূত্র: ব্লুমবার্গ ও আরটি
news24bd.tv/আজিজ