ইরানে বিক্ষোভে মদদদাতাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি রাইসির

চন্দ্রানী চন্দ্রা

বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। হিজাবকাণ্ডে মাহসা আমিনির মৃত্যু নিয়ে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। দমনে, নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যাপক অভিযানে অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি ইরানের মানবাধিকার সংগঠনের। যদিও ইরান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা ৪১।

এর মধ্যে ইরানের সরকারি বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আছে।

পুলিশ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানে চলমান আন্দোলন পড়লো ১১তম দিনে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে দেশটিতে।

বিক্ষোভে মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

এদিকে, বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্য ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। অভিযোগ, চলমান ঘটনাবলীকে লন্ডনভিত্তিক একটি ফার্সি চ্যানেল উসকানি দিচ্ছে।

ইরানের মানবাধিকার কর্মী মাশিহ আলিনেজাদ মনে করেন, ইসলামিক রিপাবলিক ইরানের জন্য হিজাব হলো নারীকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি যন্ত্র।

ইরানের আইনে নারীকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা মানে হলো বার্লিন দেয়ালের মতো। আমরা যদি এই দেয়ালকে গুঁড়িয়ে দেই তাহলে ইসলামিক রিপাবলিকের আর অস্তিত্ব থাকবে না। কারণ ইসলামিক রিপাবলিকের মূল ভিত্তি এটা।

হিজাব ঠিকমতো না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহসা আমিনি। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। পরিবার ও বহু ইরানির দাবি, পুলিশের নির্যাতনে আমিনির মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক