বাংলাদেশের মানুষই শেখ হাসিনার পরিবার: পরশ

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

বাংলাদেশের মানুষই শেখ হাসিনার পরিবার: পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আগামীকাল। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। পাঠকের জন্য পরশের বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরা হলো-

শেখ হাসিনার জন্মদিনের বহুমাত্রিক তাৎপর্য থাকলেও এর বেদনাবিভোর তাৎপর্যটি অনস্বীকার্য। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে ফিরে এসে মানিক মিয়া এভিনিউতে একটা মন্তব্য করেছিলেন, 'পরিবারের সবাইকে হারিয়ে, নিঃস্ব হয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি।

আমার আব্বা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আজীবন আপনাদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আপনারাই আমার পরিবার। ' আমি মনে করি, এই মন্তব্যের সততা শেখ হাসিনা আজীবন ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষেই শেখ হাসিনা’র এ দেশের জনগণ ছাড়া আর কেউ নেই।
পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও বাংলাদেশের মানুষই যেন তার বৃহৎ পরিবারে পরিণত হয়েছে।

দেশবাসীর প্রতি শেখ হাসিনা’র এই দরদ শেখ হাসিনা তাঁর পিতার কাছ থেকেও অর্জন করেছে বলে অনেকে অনুমান করেন। কিন্তু ১৫ই আগস্টের পরিণতি তাঁর মনস্তাত্ত্বিক জগতে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে পারত। যাই হোক আমরা মানুষ। তাঁরতো মনে হতে পারতো, বাঙালিরা আমার আব্বাকে মারল! কিন্তু না, শেখ হাসিনা কিন্তু এই পরিণতির ইতিবাচক পথে পদচারণা করেছেন। তিনি বরঞ্চ ভেবেছেন, 'আব্বা এই দেশের মানুষকে ভালবাসত, আমার এদেরকে ভালোবাসা দরকার। ' এই দিকটা হল, শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী জাতীয়তাবোধ। আমাদের সৌভাগ্য তিনি অনুধাবন করেছেন, যে তিনি যদি এই দেশকে ভাল না বাসেন, বা তিনি যদি অভিমান করে ছেড়ে দিতেন এবং এই দেশের দায়িত্ব না নিতেন, তাহলে তাঁর পিতার আত্মত্যাগ, সর্বোপরি লাখো মানুষের আত্মত্যাগ ভেস্তে যাবে বা বিসর্জন হয়ে যেতো। তাই ১৯৮১ সালে তিনি এই দেশের রাজনীতির হাল ধরলেন এবং তাঁর পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে জীবন উৎসর্গ করলেন।

আপনারা জানেন সেই পথ মসৃণ ছিল না। অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। জাত শত্রুকেও বিশ্বাস করতে হয়েছে। এই খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলন করেছিলেন। তাঁর জবাবে তিনি কি পেয়েছেন? সেই বিশ্বাসের বদলে তিনি পেয়েছেন বিশ্বাসঘাতকতা, লাশ এবং গ্রেনেড হামলা। ২১শে আগস্ট। ’৭৫-এ যেই জিয়াউর রহমান তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছিল। সেই জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রীকে সাথে নিয়ে কিন্তু শেখ হাসিনা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিলেন। খালেদা জিয়া দুই বার প্রধানমন্ত্রীও হলেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাঁর পুত্র, সেই খুনের ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি করল। জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনার পরিবারকে হত্যা করেছিল, আর ছেলে পুরো রাজনৈতিক দল, অর্থাৎ শেখ হাসিনা’র আওয়ামী লীগ পরিবারকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবার প্রচেষ্টা করল। বিশ্বাসঘাতকতা কাকে বলে? দুই দুই বার বিশ্বাসঘাতকতা। ’৭৫-এ একবার, ২০০৪-এ আরেকবার। এরপরও ওরা কি চায়? কোন মুখে চায় যে শেখ হাসিনা তাদের জন সংবিধান সংশোধন করে, একটা ব্যতিক্রম নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে? তারা শেখ হাসিনা’র কাছে কি অনুকম্পা চায়? তাহলে বলুক সেটা।

শেখ হাসিনা তাদের জন্য সেই অনুকম্পা দেখাবার বা ব্যতিক্রম করার কোন প্রয়োজন নাই এবং অনুকম্পা দেখানোর মত কোন কাজও তারা করে নাই, তারা সেটার প্রাপ্য নয়। শেখ হাসিনাতো ২০০৮ সালে বিএনপির নিযুক্ত ইয়াজুদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সরকারের অধীনেই নির্বাচন করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেছেন। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে এবং পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাশের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে যে কোন দল সংবিধানে সংশোধন আনতে পারে। তাহলে কোথায় সমস্যা? এখন তাদের জন্য কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই নির্বাচন করে তাদের ক্ষমতায় এসে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা যদি পায় তাহলে তারাও সংবিধানে পরিবর্তন বা সংশোধন আনতে পারবে। সেই পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং শেখ হাসিনা’র অধীনেই নির্বাচন করে যেতে হবে।

তারা হুমকি দেয় যে এই সংকটের সমাধান একটা সাংবিধানিক সংকট যেটা সমাধান করতে হলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদে আসতে হবে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে তারপর তারা এই সংকটের সমাধান করতে পারবে। রাজপথে এর সমাধান করার এখন কাররই ক্ষমতা বা অধিকার নাই। It is a settled issue by the parliament and the Supreme Court of Bangladesh. বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যেতে চান না। তারা নাকি নির্বাচনকালীন শেখ হাসিনার সরকারকে বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করুক আর না করুক তাদের ব্যাপার। কিন্তু এটা শেখ হাসিনার অধিকার যে নির্বাচন তাঁর অধীনেই হবে। সংবিধান তাঁকে এই শক্তি এবং অধিকার দিয়েছে। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অবান্তর এবং অপরিপক্ব।

তাছাড়া শেখ হাসিনার অপরাধ কি? তিনিতো জাতির পিতার স্বপ্নকে সফল করার প্রত্যয় নিয়েই এগিয়ে চলেছেন। সহজ নিরাভরণ জীবন যাপন করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শুধু দূরদর্শিতারই পরিচয় দিয়ে চলছেন না, তিনি অত্যন্ত মানবিক ও আন্তরিক পন্থা অনুসরণ করেন। দেশের প্রতিটি খাত নিয়ে তার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সেই পরিকল্পনা মতো তিনি এগিয়ে চলেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার মতো ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও তিনি প্রতিটি অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন। তাঁর দক্ষতার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন।

অসাম্প্রদায়িকতা, উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিজ্ঞানমনষ্ক জীবনদৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক এবং অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কে। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় তিনি দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কারিগর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তা শেখ হাসিনা না থাকলে কখনোই সম্ভব হতো না। আমরা ২১ বছরের দুঃশাসন দেখেছি। দেখেছি দেশ কীভাবে তলিয়ে যাচ্ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলাদেশও আমরা দেখছি। জাতিসংঘে বারবার পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণেই দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে, অভাব দূর হয়েছে।

১৯৯৭ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বিগত ১৮ বছরে প্রায় ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধন হয়েছে, যার প্রমাণ আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী টানেল। আমি এই সুযোগে কৃতজ্ঞতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের তরফ থেকে অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল মন্ত্রী, জননেতা ওবায়দুল কাদেরকে এতগুলো ল্যান্ডমার্ক অর্জন আমাদের উপহার দেবার জন্য। শুধুমাত্র স্বপ্নের পদ্মাসেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ১ দশমিক দুই-তিন শতাংশ হারে অবদান রাখবে। তাই আমি বলবো, দক্ষ হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে চলেছেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার।

একমাত্র শেখ হাসিনা যদি দীর্ঘ সময় দেশ পরিচালনা করতে পারেন, যদি তিনি নেতৃত্বে থাকেন শুধু তাহলেই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব। অন্য কোন নেতৃত্বের দ্বারা উন্নত দেশ হওয়া সম্ভব না। এটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি। সুতরাং শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। বিশেষ করে বিশ্ব এখন একটা সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে, যেই সংকট মোকাবিলা করার দক্ষতা বা নেতৃত্ব দেবার শক্তি শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারো নাই। এটা বাস্তব কথা।

করোনাভাইরাসের মহামারি মারাত্মক প্রভাব বিশ্ব যখন সামলে উঠতে শুরু করেছে, তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বিশ্বকে নতুন করে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, জ্বালানি সংকট এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এখন আরও প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে। আমরা এমন একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছি, যখন অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে আমাদের আরও অধিকতর রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা সম্পন্ন নেতৃত্ব প্রয়োজন। যেটা শুধু শেখ হাসিনাই দিতে পারেন।

শেখ হাসিনার যেই রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা রয়েছে সেটা নিশ্চয়ই বিএনপির কোন নেতাদের নাই। বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সংকটের গভীরতার সঙ্গে বিএনপি কোন নেতারা ওয়াকিবহাল না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। জিডিপির হিসাবে আমাদের অবস্থান ৪১তম। বিগত এক দশকে আমরা দারিদ্রতার হার হার ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় মাত্র এক দশকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং এই সকল কাজের সুফল একমাত্র শেখ হাসিনার সাহসী দক্ষ নেতৃত্বই ঘরে তুলে আনতে পারবে।

অতএব বিএনপি নেতাদের বলবো, ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সা পরিহার করেন এবং যোগ্যতা বাড়ান। প্রতিযোগিতায় আসেন। ভোটে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। আপনাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। যোগ্যতার মাপকাঠিতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর দক্ষতা অর্জন করুন। নিশ্চয়ই অনুকম্পা করে বা সমঝোতা করে আপনাদের গতিতে বসানো হবে না।

খালেদা জিয়া এখন কেবলমাত্র একজন স্বৈরশাসকের স্ত্রী হিসাবে পরিচিত। যদি তাঁর যোগ্যতা থাকত তাহলে দুর্নীতিবাজ পুত্রকে শাসন করতে পারবেন। যে নিজের ঘরকে শাসন করতে পারে না, সে কিভাবে দেশকে শাসন করবে। তা আবার এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটে। অন্যের দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা ও বিদেশিদের কাছে নালিশ না করে নিজেদের যোগ্যতা বাড়ান। পরিশেষ বলতে চাই, যে বিশ্বের এই সংকটময় মুহূর্তে যোগ্যতার মাপকাঠিকে মূল্যায়ন করে অন্তত দেশের স্বার্থে একটা যোগ্য বিরোধী দল হওয়ার চেষ্টা করুন। পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা পথ বেছে নেন। সেটাই হবে যোগ্য নাগরিক এবং একটা যোগ্য দলের দায়িত্বশীল আচরণ।

পরিশেষে যুবলীগের ভাই ও বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এমন এক নেত্রীকে অনুসরণ করি যিনি আজীবন ধরে এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রজন্মের তাঁর কাছে থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি আশা করি এদেশের যুবসমাজ জননেত্রীর দেখানো পথ অনুসরণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সোচ্চার থাকবে এবং প্রয়োজনে প্রতিবাদী থাকবে। একই সাথে সমসাময়িক ৪র্থ বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা নিজেদেরকে দক্ষ মানবশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে মনোনিবেশ করবো।

সর্বশেষ বলতে চাই, আজকের আমাদের ৫ম ধাপের এই আশ্রয়ণ কর্মসূচি একটা প্রতীকী তাৎপর্য বহন করে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মানুষের মৌলিক চাহিদাসমূহ-অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্রণোদিত সঙ্ঘবদ্ধ এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একটা রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন হিসাবে একটা মর্যাদাশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন যুবলীগের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীদের প্রাণের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে। সেই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আজকের যুবলীগ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার সংগ্রামে সম্মুখযোদ্ধা হিসাবে অবতীর্ণ হবে।

news24bd.tv/FA