ঢাবি ভিসিকে অপসারণের দাবি ফখরুলের

ফাইল ছবি

ঢাবি ভিসিকে অপসারণের দাবি ফখরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামানের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। মঙ্গলবার ঢাবি শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের ওপরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, ঢাবির ভিসি ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার ঢাবি ভিসির অনুমতি নিয়ে বিকেল চারটার দিকে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল।

সেই সময় তাদেরকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জঘন্যভাবে হামলা করে, বলা যেতে পারে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রচণ্ডভাবে মারধর করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পত্রিকায় ছবি এসেছে ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য ছিল হত্যা করা। এই ছাত্ররা এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা এই জঘন্য মধ্যযুগীয় বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যিনি ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন, তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের নির্দেশে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের হামলা, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দল দেখেছেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সব জায়গায় নিজেদের মধ্যে গোলমাল করছে। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলা করছে। নেত্রকোনায় গণঅধিকার পরিষদ একটি কর্মসূচি শেষ করে আসার সময় হত্যার উদ্দেশ্য আক্রমণ করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যা ঘটছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে যা ঘটছে সবগুলোর দায়দায়িত্ব নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা উচিত।

নিহত শাওনের বিষয়ে তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। আরও অসংখ্য কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সভায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

ফখরুল বলেন, গত আগস্ট থেকে জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচিতে আজ (২৮সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন, যশোরে আব্দুল আলিমসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশ ৪ জনকে গুলি করে এবং ১ জনকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে।

ফখরুলের অভিযোগ, এসময়ে ২ হাজার ৭৬৮ জনের অধিক আহত, ২৯৪ জন কর্মী গ্রেফতার, প্রায় ৭৫টি মিথ্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ হাজার ৪৭০ জনসহ প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

news24bd.tv/FA