অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও অব্যবস্থাপনার খেসারত দিচ্ছে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ব নীতি সহায়তাকারী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল বলছে, সক্ষমতা বেশি থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ হচ্ছে কম। এতে অলস বসিয়ে রেখে কেন্দ্রগুলোকে ভাড়া দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি স্বল্পতায় বেশিরভাগ কেন্দ্র উৎপাদনহীন থাকবে আগামীতেও। যার বোঝা জনগণকেই টানতে হবে।
দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের দিনই ঘোষণা আসে শতভাগ বিদ্যুতায়নের। যদিও পায়রার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতার অর্ধেকও এখনো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ, ক্যাপটিভসহ উৎপাদন ক্ষমতা দেখাচ্ছে ২৫,৭৩০ মেগাওয়াট। এর বিপরিতে বর্তমানে সরবরাহ হচ্ছে ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। ১০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি সক্ষমতার কেন্দ্র অলস বসে থাকলেও ভাড়ার টাকা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট গুনতে হচ্ছে ঠিকই। মাসে যার পরিমাণ প্রায় ১৮‘শ কোটি টাকা।
চাহিদা ও উৎপাদনের তারতম্যের পিছনে বড় কারণ শিল্পের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা- ক্যাপটিভ পাওয়ার। জাতীয় গ্রিড থেকে সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায়, নিজেরাই বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন করচে কারাখানাগুলো। সরকারের হিসাবে যার পরিমান ২ হাজার ৮শ মেগাওয়াট। যা মোট বিদ্যুৎ সক্ষমতার ১০.৮৮ শতাংশ।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি সরবরাহ যদি দিতে না পারে তবে সেই ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর সেটা যদি না পারে অযোগ্যতার প্রমাণ।
তাহলে এই অব্যস্থপনার দায় কার? আর চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন সক্ষমতার ফাঁদ থেকে সামনের দিনে বের হওয়ার উপায় নিয়েই বা কি ভাবছে সরকার?
এদিকে ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের সরকারি হিসাবে কোন মিল পাওয়া যায়নি। মৌসুম ভেদে চাহিদা ১০ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে ঘোরাফেরা করলেও বলা হচ্ছে ২০৩১ সালে তা পৌছাবে ২৯ হাজার মেগাওয়াটে। আর অনুমোদন পাওয়া ও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় থাকা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পর উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ৪১ হাজার মেগাওয়াট।
news24bd.tv/কামরুল