রিকশা চালককে হত্যা, দুই জনের যাবজ্জীবন

রিকশা চালককে হত্যা, দুই জনের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক

২০ বছর আগে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একই মামলার আরেকটি ধারায় তাদেরকে আরও পাঁচ বছর কারাদণ্ডেরে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূর ইসলাম এই রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের হিচমী গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে জুয়েল (৩৮) এবং একই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল (৪০)। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জয়পুরহাট সদরের মাগনীপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (১৫) শহরে রিকশা চালিয়ে পরিবারের খরচ চালাতেন।

২০০২ সালের ২৯ জুন দুপুরে ফারুক বাড়ি থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়ে শহরে আসেন। পরে আর সে বাড়ি ফেরেনি। পরে তার বাবা ফারুককে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ফারুকের সন্ধান পাননি। ওই বছরের ১ জুলাই ফারুকের বাবা সদরের বম্বু কাদিরপুর গ্রামের সড়কের পাশে একজনের লাশ পাওয়ার খবর জাতে পারে।  

সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা ফারুকের লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ জুয়েল ও মাহমুদুল নামের দুজনকে ছিনতাই হওয়া রিকশাসহ আটক করে আদালতে পাঠায়। ফারুকের বাবা থানায় গিয়ে রিকশাটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে সেইদিনই ওই দুইজনকে আসামি করে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

জয়পুরহাট থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল মামলাটি তদন্তপূর্বক ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জয়পুরহাট জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে এ রায় দেন বিচারক। রায়ে বিচারক দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড , সেই সাথে দশ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। একই মামলায় আরেকটি ধারায় ওই দুই আসামিকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারক পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

news24bd.tv/কামরুল