পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণ চায় ইডকল 

সংগৃহীত ছবি

পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণ চায় ইডকল 

পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণ চায় ইডকল। এ বিষয়ে বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে এক ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।  

সচিব বলেন, ‘আরএমজি এবং টেক্সটাইল আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

তাই, আমাদের সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করার জন্য এই খাতগুলোর দক্ষতা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় সংস্থাগুলো তাদের উৎদনশীলতা বাড়াতে পারে। জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি নতুন বিনিয়োগকেও আকৃষ্ট করবে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। ’

বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে দ্য এনার্জি এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি, যার লক্ষ্য ২০১৩ সালের চেয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের জ্বালানি দক্ষতা ২০ শতাংশ বাড়ানো। ’

স্বাগত বক্তব্যে জ্বালানি সাশ্রয়ী খাতে ঋণ প্রদানে ইডকল-এর অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সিইও আলমগির মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘জাইকা, এএফডি, জিসিএফ থেকে প্রাপ্ত ৫০ কোটি ডলার ইডকল ব্যয় করবে শুধু জ্বালানি সাশ্রয়ী খাতের উন্নয়নের জন্য। ’

প্যানেল আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও আরএমজি খাতে জ্বালানি সাশ্রয়ের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ছাড়াও প্যানেলে আরও উপস্থিত ছিলেন স্রেডার চেয়ার মুনিরা সুলতানা, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক  খন্দকার মোরশেদ মিল্লাত, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র প্রতিনিধি তারো কাতসুরাই এবং বিজিএমইএ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী। প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন ইডকলের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা নাজমুল হক। অনুষ্ঠানে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইডকলের মূল স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/ইস্রাফিল

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর