খেয়া পারাপারে বাড়ছে দুর্ঘটনা, দায় কার?

জাহিদুজ্জামান

খেয়া পারাপারে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে, ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে কুষ্টিয়ার গোড়াই খেয়া ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে এভাবেই গড়াই নদীতে ডুবে যায় নৌকা। অন্য সবাই সাঁতরে উঠতে পারলেও মারা যান ১০ বছরের এক শিশু কন্যা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে, এতে প্রাণ হারান ৭০ জনের বেশি।

এভাবে একের পর এক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। এর জন্য দায়ী কে?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেয়া পারাপারে দুর্ঘটনার জন্য পারাপারকারী ও যাত্রী উভয়েই দায়ী। অতিরিক্ত টাকার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছেন পারাপারকারী, আর যাত্রীরাও তড়িঘড়ি করতে গিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে উঠছেন নৌকায়। নৌকা চালকের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার কথা। সব পক্ষ আন্তরিক হলেই কমানো সম্ভব নৌ দুর্ঘটনা।  

এসব খেয়া নৌকায় যারা পান হন তারাই বলছেন হুড়োহুড়ি করে উঠে অতিরিক্ত যাত্রী হন তারাই। এতেই বেড়ে যায় ঝুঁকি।  
খেয়াঘাট যারা পরিচালনা করছেন তারা বলছেন, কাজে যেতে ও ফেরার সময় সকালে এবং সন্ধ্যায় একযোগে সব মানুষ আসেন খেয়া পার হতে। এ সময় মানুষের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে।  

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক জানে আলম দুর্ঘটনার জন্য নৌকা চালকের অদক্ষতা এবং ধারণ ক্ষমতা না মানার প্রবণতাকে দায়ী করছেন

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়াতে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

কিছুটা সময় বাঁচাতে গিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌকায় উঠছে যাত্রী। আর এই সুযোগে কয়েক টাকা বেশি পাওয়ার চিন্তায় নৌকা কানায় কানায় ভরে ফেলছেন ঘাট পরিচালনাকারীরা। এই দুই পক্ষ সচেতন কার গেলে নৌ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

news24bd.tv/আজিজ