পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে সার্জন সবকিছুই আছে। তারপরও ৮০ ভাগ রোগী বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এর কারণ উদঘাটন করে সমাধান করা উচিত।মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশের (এমওএসবি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্যান্সার সামিট ২০২২। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. পারভিন শাহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে ঢাকা ক্যান্সার সামিটে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, মেজর জেনারেল আজিজুল ইসলাম, কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান, ডিজিএমএস।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ২০-৩০ বছর আগে চক্ষু, হার্টসহ দেশে কোনো ইনস্টিটিউট ছিল না, এখন অনেক হয়েছে। তারপরও আরও ভালো করতে হবে। কারণ, ভালো কাজে প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। ’
চিকিৎসকদের গবেষণায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখানে গবেষণা হচ্ছে না। চিকিৎসকদের অন্যতম প্রধান কাজ গবেষণা। এর জন্য অর্থের প্রয়োজন হলে সরকার তা দেবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন, ক্যান্সার অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা। সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রকোপ বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলে মুখের ক্যান্সারসহ নানা ধরনের ক্যান্সারের রোগী দেখা যায়। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ফলে বেশিরভাগ রোগীকে ঢাকামুখী হতে হয়। বিশেষ করে তারা জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আসেন। স্থানীয় পর্যায়ে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে এসব রোগী কমানো সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, বিশ্বজুড়েই ক্যান্সার চিকিৎসা একটি বড় সমস্যা। শুধু বয়স্করা নয়, কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য ডায়াগনোসিস বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ক্যান্সার নির্ণয়ে ডায়াগনোসিস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সংকট অবকাঠামো এখনও দুর্বল। হৃদরোগ চিকিৎসার অবস্থা অনেক ভালো; কিন্তু ক্যান্সারে এখনও আমরা পিছিয়ে। আগামীতে ক্যান্সার রোগী কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেজন্য একটি রোডম্যাপ থাকা দরকার।