সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে পর্যটকদের সখ্যতা বেশ আনন্দের। তবে একটু বেখেয়াল হলেও এই উচ্ছ্বাস রূপ নিতে পারে বিষাদে। আর তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করে সী লাইফগার্ডের সদস্যারা। তাদের প্রদর্শনী দিয়ে শুরু হয় পর্যটক মেলার চতুর্থদিনের আয়োজন।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার লীলা সমুদ্র উপকূল। এখানে প্রকৃতির সাথে ঢেউয়ের আলাপনটা প্রতিদিনের। ঢেউয়ের গর্জনের সাথে ভেসেও আসে উচ্ছ্বাস, আনন্দের সুর। তার সাথে গল্পটাও জমে ওঠে আগত পর্যটকদের।
তবে একটু অসাবধান হলেই আনন্দের গল্পটা মোড় নিতে পারে বিষাদে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে দিনভর কাজ করে সী লাইফগার্ডের সদস্যরা। শুক্রবার বীচ কার্নিভালের শুরুটা হয় সী সেফ লাইফগার্ডের প্রদর্শনী দিয়ে। দেখানো হয় বিপদগ্রস্থ পর্যটকদের উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ যাবতীয় কার্যক্রম।
কক্সবাজারের কলাতলি, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে কাজ করছে প্রায় ৪৭ জন লাইফগার্ড। তাদের কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) ফিল্ডটিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা সব সময় এই রেসকিউ করি এবং পর্যটকদের সাথে কথা বলে তাদের সচেতন করি।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) পলিসি এন্ড পার্টনারশিপ ম্যানেজার জুলিয়েট রোজেটি বলেন, আমরা চাই লাইফগার্ড সার্ভিসটা যাতে কন্টিনিউ করে এবং টেকসই হয়। সেটার জন্য শুধুমাত্র বেসরকারি পর্যায়ে আমাদের উদ্যোগটুকুই যথেষ্ট নয়।
বীচ কার্নিভালকে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ফান গেমের ব্যবস্থাও করা হয়। যেখানে লাইফগার্ডের পাশাপাশি অংশ নেন পর্যটকরাও।
কক্সবাজারকে পর্যটক বান্ধব করতেই এমন উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করেবে বলে জানান মেলা কমিটি।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, জেলা প্রশাসন এবং ট্যুরিষ্ট পুলিশ সবাই আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
কক্সবাজারে লাবনী পয়েন্টে পর্যটক মেলা চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
news24bd.tv/তৌহিদ