কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা মিলল। পাগলা মসজিদের ইতিহাসে এই প্রথম এতো বেশি টাকা পাওয়া গেল। মোট সাড়ে ১৫ বস্তা টাকা জমা হয়েছিলো এসব দানসিন্দুকে। টাকা ছাড়াও দান সিন্দুকে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
এর আগে ২ জুলাই পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে সাড়ে ১৬ বস্তায় মোট ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবার কম সময়ের ব্যবধানে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
জানা গেছে, ২ মাস ২৯ দিন পর আজ শনিবার সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে আটটি সিন্দুক খোলা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, পাগলা মসজিদের দানের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম স্থাপত্য হিসেবে বানানো হবে। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা থাকবে। এ জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়া পাঁচ হাজার নারীর জন্য নামাজের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। তিন তলা বিশিষ্ট পাগলা মসজিদে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়েছে।
news24bd.tv/arkabul