৫০ বছরেও জানা সম্ভব নয় নোবেল মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম

সংগৃহীত ছবি

৫০ বছরেও জানা সম্ভব নয় নোবেল মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম

এস এম আজিজুর রহমান

পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও দামি পুরস্কার হলো ‘নোবেল প্রাইজ’। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে ইংরেজিতে নোবেল লরিয়েট বলা হয়। অনেকে জানতে চান, এই পুরস্কার যারা পায় তাদের মনোনয়ন ও বাছাই প্রক্রিয়া ঠিক কীভাবে করা হয়?

বাছাই প্রক্রিয়া
প্রতি বছর নোবেল প্রাইজের জন্য শতশত মনোনয়ন জমা পড়ে নরওয়ের নোবেল কমিটিতে। বৈধ মনোনয়ন পেতে প্রতিবছর ৩১ জানুয়ারির আগে অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

এই আবেদন স্বয়ং কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান করতে পারেন। আবার অন্য কেউ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে আবেদন করতে পারে। দেখা যায়, এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যা ওই ব্যক্তি আগে জানতেনও না। হয়তোবা অন্য কেউ তার নামে আবেদন করেছিল।
 

নোবেল কমিটির প্রথম বৈঠকে বসে প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর সেই তালিকা থেকে মনোনয়ন বাছাই করে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং যোগ্য প্রার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়। তবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ার পরও নোবেল কমিটির সদস্যরা চাইলে তাদের প্রথম বৈঠকে তালিকায় আরও নাম যোগ করতে পারেন। এরপর নোবেল কমিটির স্থায়ী উপদেষ্টা, নরওয়েজিয়ান বা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেন। পরে একেবারে শেষ বৈঠকে কমিটি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। এরপরই নিয়মানুযায়ী অক্টোবরের শুরুতে ওই বছরের বিজয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়।  

মনোনয়নের তথ্য গোপন থাকে 
আইন অনুযায়ী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, মনোনয়নকারী এবং পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে তদন্তের তথ্য ৫০ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয় না (লিঙ্ক)। গোপনীয় ভল্টের ভেতর সারিবদ্ধভাবে রাখা ফোল্ডারগুলোতে সবুজ ফোল্ডারে থাকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা এবং নীল ফোল্ডারে থাকে সংশ্লিষ্ট চিঠিপত্র।

নোবেল ফাউন্ডেশনের সংবিধির ১০ ধারায় বলা আছে, পুরস্কার প্রদানের জন্য প্রাপ্ত প্রস্তাবনা এবং পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে তদন্ত এবং মতামত ৫০ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ করা যাবে না। এজন্য তারা বিষয়টি গোপন রেখে শুধু বিজয়ীদের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে।  

মূলত: নোবেল কমিটির পক্ষে মিডিয়া বা প্রার্থীদের কাছে মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয় না। কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীদের নাম গণমাধ্যমে হয়তো চলে আসে। এগুলো মনোনয়ন প্রার্থী বা মনোনয়নকারীর নিছক অনুমানের ওপর ভিত্তি করেই করা হয়।

এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার সংক্রান্ত
২০২২ সালে কমিটির প্রথম সভা ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নোবেল পিস প্রাইজের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকায় ৩৪৩ জন প্রার্থী রয়েছে। এই সংখ্যা নোবেল প্রাইজের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৩৭৬ জনকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। এবারের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি সংস্থা। তবে মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম জানার কোন সুযোগ নেই।

news24bd.tv/desk


 

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর