দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সন্ত্রাসীর হামলায় একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে একজনকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। এই ঘটনায় দফায় দফায় ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাকিলা পারভীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে ফেরার পথে বীরগঞ্জ উপজেলার জগদল ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত কাশেম আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া, এলাকার একটি মুরগী ফার্মের নৈশ্য প্রহরী শহীদ ও তিন বছরের ছেলে একরামুলকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় একই এলাকার তারামিয়ার ছেলে রবিউল। এতে ঘটনাস্থলেই সুরুজ মিয়া মারা যায়। এই ঘটনার পর সকাল ছয়টা থেকে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। পরে সকাল পৌনে আটটার দিকে এলাকাবাসী ঘাতক রবিউলকে কাহারোল উপজেলার তের মাইল গড়েয়া থেকে আটক করে নিয়ে এসে ঘটনাস্থলে পুড়িয়ে হত্যা করে।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সকাল থেকেই দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করে দুপক্ষের লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও সকাল ১০ টা থেকে যানচলাচল শুরু হয়।
এলাকাবাসী আরো জানায়, রবিউল ইসলাম এলাকার সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। গত প্রায় ২ মাস আগে সুরুজ মিয়ার ভাতিজা বশিরকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। গত সোমবারও একজনকে এলোপাতাড়ি কোপান তিনি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/পলাশ/তৌহিদ)
