বৃথা গেল মিলারের সেঞ্চুরি, সিরিজ ভারতের 

সংগৃহীত ছবি

বৃথা গেল মিলারের সেঞ্চুরি, সিরিজ ভারতের 

অনলাইন ডেস্ক

সিরিজে সমতা ফেরাতে শেষ ৪ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৮২ রান। অর্থাৎ, ওভারপ্রতি ২০ এর বেশি করে তুলতে হতো উইকেটে থাকা ডেভিড মিলার এবং কুইন্টন ডি কককে। তবে ১৭তম ওভারে দীপক চাহার দেন মাত্র ৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের আশা সেখানেই শেষ।

তবে পরের তিন ওভারে ডেভিড মিলার যা করলেন, তাতে সফরকারী দলের আফসোস হতেই পারে, চাহারের ওই ওভারে যদি আর কিছু রান বের করা যেত। তাহলে হয়তো ইতিহাস রচনা করা সম্ভব হতো।

আজ গুয়াহাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের কাছে হেরেছে ১৬ রানের ব্যবধানে। ২৩৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫ রানেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় প্রোটিয়ারা।

এরপর অতিথিদের এতদূর আসা মিলার-ডি ককের কল্যাণে। মিলার অপরাজিত থাকেন ১০৬ রান করে। ডি ককও অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ৬৯ রান নিয়ে।

আন্তর্জাতিক টি২০তে মিলার-ডি ককের রেকর্ড ১৭৪ রানের অপরাজিত জুটির আগে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয়েছিল বেশ বাজে। দীপক চাহারের করা প্রথম ওভারে কোনো রানই নিতে পারেননি টেম্বা বাভুমা। পরে রানের খাতা খোলার আগেই ০ রানে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। তাকে ফেরান অর্শদীপ সিং। ওই ওভারে রাইলি রুশোকেও খালিহাতে সাজঘরে পাঠান এই পেসার।

১ রানেই প্রথম ২ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলান ডি কক এবং এইডেন মার্করাম। ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মার্করাম অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হওয়ার পর মিলার-ডি কক টিকে থাকেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত।

তবে তাদের দুর্দান্ত সেই জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেতাতে পারেনি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিলেও অর্শদীপ ৪ ওভারে রান দেন ৬২। অপর উইকেটটি নেওয়া অক্ষর খরচ করেন ৫৩ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লোকেশ রাহুল এবং রোহিত শর্মা। দুজনে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৯৬ রান। রোহিত ৩৭ বলে ৪৩ রান করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। অধিনায়ককে হারালেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত রান তোলার গতি কমেনি ভারতের। উল্টো বেড়েছে।

প্রথম ১০ ওভারে ৯৬ রান তোলা ভারত, শেষ ১০ ওভারে তোলে ১৪১ রান। যার কৃতিত্ব রাহুল, কোহলি এবং সূর্যকুমারের। আগে ম্যাচে স্লথ গতির ব্যাটিংয়ের কারণে সমালোচিত হওয়া রাহুল এই ম্যাচে কেশভ মহারাজের বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে করেন ৫৭ রান। সূর্যকুমার ফেরেন রানআউট হয়ে। তবে এর আগে মাত্র ২২ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন তিনি।

ভারতকে শেষ পর্যন্ত ২৩৭ রানের পুঁজি এনে দেন বিরাট কোহলি এবং দীনেশ কার্তিক। কোহলি ২৮ বলে ৪৯ রান নিয়ে থাকেন অপরাজিত। কার্তিক ৭ বলে খেলে করেন ১৭ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে ২ উইকেটই পকেটে পোরেন মহারাজ। স্ট্রাইকরেট কিংবা রান সবদিক থেকে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার সূর্যকুমার নয়, গেছে রাহুলের হাতে।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি হবে মঙ্গলবার, ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে।

news24bd.tv/সাব্বির