অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট। জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এই ঘাটে গত ৫০ বছরে উন্নয়ন তো দুরের কথা, কেউ খবরও রাখেনি। এলাকাবাসী জানায়, দুর্ঘটনা কবলিত ওই নৌকাটি ছিলো সর্বোচ্চ ৫০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার। অথচ দুর্ঘটনার দিনে যাত্রী উঠেছিলেন ১০০-এর বেশি।
স্থানীয়রা আরও জানায়, নৌকায় যাত্রী ওঠার সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল লোকও ছিল। স্থানীয়দের প্রশ্ন, তাদের উপস্থিতিতেই ছোট নৌকাটিতে এত যাত্রী উঠেছিল কীভাবে? ঘাট পরিচালনায়ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন তারা।
পঞ্চগড়ে করতোয়ায় নৌকাডুবিতে স্বজনহারাদের পরিবারে হাহাকার আর আর্তনাদ চলছেই। এক সঙ্গে এতো প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ায় শোক ছুঁয়েছে পুরো গ্রামে।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, প্রতিবছর এই ঘাট বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে ইজারা দেয়া হয়। ইজারাদাররা প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা আয়ও করেন। সরকারি কোষাগারেও জমা হয় রাজস্ব। অথচ ঘাট পরিচালনায় অনিয়মের অন্ত নেই, অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপংকর রায় জানান, উচ্চতর তদন্তের জন্য গঠিত কমিটিকে আরও সময় দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই, জানা যাবে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটলো।
news24bd.tv/FA