২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন বিজ্ঞানী অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, জন ক্লজার ও অ্যান্টন জেইলিঙ্গার। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে সাবটমিক কণার আচরণের ওপর গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তাদের গবেষণা সুপার কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক ও এনক্রিপ্টেড যোগাযোগে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে দিয়েছে।
পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘আলোচিত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন এবং অগ্রগামী কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানের জন্য’ তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
৭৭ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জেইলিঙ্গার টেলিফোনে এপিকে বলেন, তিনি পুরস্কার পেয়েছেন শুনে ‘এখনও হতবাক’। ‘তবে এটি একটি খুব ইতিবাচক ধাক্কা,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস জানায়, নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট ফ্রান্সের, জন ক্লাজার আমেরিকান ও অ্যান্টন জেইলিংগার অস্ট্রিয়ান নাগরিক। তাদের গবেষণার মাধ্যমে এই ফিল্ডে বড় ক্ষেত্র তৈরি করেছে যার মধ্যে রয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক এবং নিরাপদ কোয়ান্টাম এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ।
পুরস্কার হিসেবে তাদের ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা বা ৯ লক্ষ ডলার নগদ অর্থ দেয়া হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর তাদের এই অর্থ দেয়া হবে। এর আগে সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয় সুইডেনের জিনবিজ্ঞানী সান্তে পিয়েবোকে।
এ মাসেই পর্যায়ক্রমে রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি এবং অর্থনীতির জন্য পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
news24bd.tv/আজিজ