উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে সমুদ্রে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৫ অক্টোবর) ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পূর্ব সাগরে নিক্ষেপ করা হয় যা জাপান সাগর নামেও পরিচিত। খবর বিবিসির।
সিউল বলছে, উত্তর কোরিয়া জাপানের ওপর দিয়ে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটি করা হয়েছে।
২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো গতকাল (মঙ্গলবার) জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। এর জেরে সিউল ও ওয়াশিংটন শক্তি প্রদর্শনে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে এবং দুদেশই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
এক বিবৃতির বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার মার্কিন সামরিক বাহিনী দ্বারা তৈরিকৃত ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমের একটি জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে সিউল ও ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিবরি বলেন, উৎক্ষেপণটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের উত্তরের উস্কানির জবাবে সামরিক সক্ষমতা দেখানোর জন্য করা হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন বাহিনী সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দুপক্ষই দুটি করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ’
উস্কানি রোধ করার জন্য মিত্রদের সক্ষমতা প্রদর্শনে এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে বিবিসি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ হয় এবং বিধ্বস্ত হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পর দুই মিত্র দেশ উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে আটটি যুদ্ধবিমান নিয়ে বোমা হামলার মহড়াও করেছে।
চলতি বছরে সর্বোচ্চ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সবশেষ এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে কিম প্রশাসন।
এ দিকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ছয় সদস্য একটি জরুরি বৈঠকের ডাক দেয়। বৈঠকটি বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে জানা গেছে, রাশিয়া ও চীন বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনার বিরোধিতা করেছে।
news24bd.tv/মামুন