বিদেশের মাটিতে নিজস্ব জমিতে নিজস্ব অর্থায়নে লাল সবুজের পতাকাবাহী দুটি ভবন একসময় স্বপ্ন হলেও তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। একটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে অন্যটির জমি ক্রয় হয়েছে শীঘ্রই শুরু হবে নির্মাণ কাজ।
বাংলাদেশের বড় শ্রম বাজার সৌদি আরবের রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জেদ্দা কনস্যুলেটের নিজস্ব ভবন দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককের মাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে দিল।
২০১৬ সালের ৪জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেদ্দায় বসে টেলিকনফারেন্সে উদ্বোধন করেন রিয়াদ দূতাবাসের চ্যান্সরী ভবনের নির্মাণ কাজ।
সেদিনই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন জেদ্দাতেও হবে বাংলাদেশের নিজস্ব ভবন। রিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসাবে খ্যাত ডিপ্লোম্যাটিক এলাকাতে অবস্থিত সেই ভবনের নির্মাণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের শেষ দিকে বর্তমান ভাড়া বাড়ি থেকে নিজস্ব ভবনে দূতাবাস স্থানান্তর হচ্ছে বলে নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ডক্টর ফরিদ উদ্দিন।এদিকে গত বুধবার (৮ আগস্ট) সৌদি আরবের বাণিজ্যিক নগরী জেদ্দার মক্কা-জেদ্দা মহাসড়কের পাশে বোগদাদিয়া এলাকায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য সৌদি সরকারের কাছ থেকে ৮বিঘা (১০২০০ বর্গমিটার) জমি রেজিস্টেশন সম্পন্ন হয়েছে।
জমি রেজিস্টেশনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব শামসুল আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (লিগ্যাল) জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম)আমিনুল ইসলাম, কাউন্সিলর আলতাফ হোসেন, কাউন্সিলর মজিবুর রহমান, কার্যালয় প্রধান মোস্তফা জামিল খান, অনুবাদক মাসুদুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জমি ক্রয়ের পর কথা হয় কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম) আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মক্কা-জেদ্দা সড়কের পাশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জমি ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তাঁর আগে সেখানে দেওয়া হবে বাংলাদেশের একটি সাইনবোর্ড। তিনি আরও বলেন, এটি অবশ্যই গর্বের বিষয় এবং দুদেশের কূটনৈতিক সুসম্পর্কের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আয়োজন করা হয় একটি অনুষ্ঠানের। সেখানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জমি ক্রয়ের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
প্রবাসীরা বলছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিদেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক। যার ফলে সৌদি আরবের মতো একটি দেশে নির্মাণ হচ্ছে বাংলাদেশের দুটি ভবন। নিজস্ব ভবন নির্মাণে দুতাবাস এবং কনস্যুলেটে বাড়বে বাংলাদেশিদের সেবার পরিধি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)