নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে ভিসা দেবে ফ্রান্স

সংগৃহীত ছবি

নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে ভিসা দেবে ফ্রান্স

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়া থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রান্সে থাকার ভিসা পাবেন না বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয়বিষয়ক ফরাসি জুনিয়র মন্ত্রী লরেন্স বুন। নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে ভিসা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৫ অক্টোবর) গার্ডিয়ান ও আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জাননো হয়েছে।  

সম্প্রতি ইউক্রেনের সেনার রাশিয়ার সেনাদের উপর হামলা চালিয়ে কয়েকটি এলাকা পুনর্দখল করে।

এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন করে ইউক্রেনে ৩ লাখ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন। এ জন্য দেশটি নাগরিকদের সেনা বাহিনীতে যোগ দানের আহ্বান জানানো হয়। এমন আহ্বানে দেশ ছাড়তে হুমড়ি খেয়ে পড়েন হাজার হাজার তরুণ। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিরোধিতাকারীরাও দেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নেন।
ইউরোপে আশ্রয় নেওয়া রুশ নাগরিকদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রান্সে থাকার ভিসা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।  

ইউরোপীয়বিষয়ক ফরাসি জুনিয়র মন্ত্রী লরেন্স বুন বলেন, সামরিক খসড়ায় তালিকাভুক্ত না করতে চাওয়ায় যারা পালিয়ে এসেছেন তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রান্সে থাকার জন্য ভিসা দেওয়া হবে না। তাদের পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে ভিসা দেওয়া হবে।  

তিনি আরো বলেন, ফ্রান্সে থাকতে আমাদের কিছু শর্ত রয়েছে। আমরা ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক, পুতিন সরকারে বিরুদ্ধে লড়াই করা ব্যক্তি, শিল্পী এবং ছাত্র এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে আমরা ভিসা ইস্যু করব।

রাশিয়ান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে আসা সব সেনাদের ইউরোপের মাটিতে স্বাগত জানানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য যারা ভিসা পেতে আবেদন করতে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি মামলা পৃথকভাবে বিবেচনা করা হবে। আমরা ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়ে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। যাদের সত্যিই প্রয়োজন এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে তাদের ভিসা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার খুব কাছাকাছি বেশ কয়েকটি রাশিয়ানদের পালিয়া আস রুখতে সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে চায়।

news24bd.tv/হারুন