ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ জনের মৃত্যু: ডব্লিউএইচও

সংগৃহীত ছবি

ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ জনের মৃত্যু: ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক

গাম্বিয়ায় স্থানীয়ভাবে বিক্রি হওয়া প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিন পর বেশ কিছু শিশু কিডনির সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল গত জুলাই মাসে। এর পর গাম্বিয়ার মেডিক্যাল অফিসাররা আশঙ্কা প্রকাশ করে। অবশেষে সেই আশঙ্কায় সত্যি হয়েছে, দূষিত কাশির সিরাপ খাওয়ায় এ পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে, ডব্লিউএইচও। কাশির ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লি ভিত্তিক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাটি ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের সাথে ওষুধ প্রস্তুতকারী, নয়াদিল্লি ভিত্তিক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যাপারে একটি তদন্ত পরিচালনা করছে। ভারতীয় ওষুধ প্রস্ততকারক দ্বারা তৈরি এসব দূষিত কাশির সিরাপ খেয়ে কিডনিতে আঘাতের কারণে গাম্বিয়ার কয়েক ডজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।

তবে এ ব্যাপারে মেডেন ফার্মা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলকে কল এবং বার্তা পাঠানো হলেও রয়টার্সের উত্তর দেয়নি তারা।

এ ঘটনায় ডাব্লিউএইচও একটি মেডিকেল পণ্য সতর্কতা জারি করেছে, যাতে মেডেন ফার্মার পণ্যগুলি বাজার থেকে সরাতে বলা হয় নিয়ন্ত্রকদের। সতর্কতাটি চারটি পণ্য কভার করে এগুলো হল- প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ।

ল্যাব বিশ্লেষণ নিশ্চিত হয়ে ডাব্লিউএইচও বলছে, ‘অগ্রহণযোগ্য’ পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল, যা খাওয়ার সময় বিষাক্ত হতে পারে।

এর আগে গাম্বিয়ার সরকার গত মাসে জানিয়ে ছিল, এসব মৃত্যুর তদন্ত করছে তারা। জুলাইয়ের শেষের দিকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে তীব্র কিডনি আঘাতের ক্ষেত্রে একটি স্পাইক সনাক্ত করে তারা। এরপর আগস্টে ২৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে গাম্বিয়া এবং আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, আগামীতে এই মৃত্যু আরও বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট দেশ গাম্বিয়া হাম, ম্যালেরিয়া ছাড়ার একাধিক জরুরী স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলা করছে। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে দূষিত কাশির ওষুধ সমস্যা। যা বেশ আতঙ্ক তৈরি করেছে দেশটিতে।

মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানটি ভারতে ওষুধ তৈরি করে, যা পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণভাবে বিক্রি করার পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিতে রপ্তানি করা হয়।

news24bd.tv/আমিরুল