যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ডে পরমাণবিক অস্ত্র রাখার আহ্বান পোল্যান্ডের

পোলিশ প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেজ দুদা (ছবি: সংগৃহীত)

যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ডে পরমাণবিক অস্ত্র রাখার আহ্বান পোল্যান্ডের

ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঠেকাতে বার বার পরমাণু অস্ত্র হামলার হুমকি দিয়ে আসছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এর জেরে নিজেদের ভূখণ্ডে পরমাণবিক অস্ত্র রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, পুতিনের হুমকির জেরে নিজেদের ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু অস্ত্র রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেজ দুদা।

তার এই অনুরোধকে ব্যাপক সংঘর্ষের প্রতীকী হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বলেছে, তিন দশক আগে কমিউনিজমের পতনের পর জোটে যোগদানকারী দেশগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। এমনকি পোলিশ সরকারের এমন কোনো অনুরোধ মার্কিন কর্তৃপক্ষ পায়নি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলনে, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।

আপনারা পোল্যান্ড সরকারের কাছে যেতে পারেন। ’

দুদার এই অনুরোধটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সর্বশেষ সংকেত বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার থেকে নিবৃত্ত করতে চায়।

পোল্যান্ডের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট দুদা বলেন, ‘আমাদের প্রথম সমস্যা হলো- আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র নেই। পারমাণবিক অস্ত্র ভাগাভাগিতে অংশগ্রহণের সম্ভাব্য সুযোগ সবসময়ই থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি সম্ভাবনা বিবেচনা করছে কি না সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ইস্যুটি উন্মুক্ত রয়েছে। ’ 

তবে পোলিশ প্রেসিডেন্ট মার্কিন সরকারে কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা খোলাসা করেননি তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পোলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র রাখা সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তার স্বার্থে হবে। ’

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে আসছে বাইডেন প্রশাসন। তবে ক্রেমলিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে এমন কোনো উসকানি বা কার্যকলাপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি গত মার্চে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ পোল্যান্ডে সফর করেন বাইডেন।

মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র পোল্যান্ডে স্থানান্তরিত করা হলে, এটি এনপিটি চুক্তি ও ১৯৯৭ সালের ন্যাটো-রাশিয়া প্রতিষ্ঠা আইন লঙ্ঘন করবে। স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পরে ন্যাটো বলেছিল, ইউরোপে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই।

ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস (এফএএস) অনুমান, স্নায়ুযুদ্ধের পর  যুক্তরাষ্ট্রের ১০০টি পারমাণবিক অস্ত্র ইউরোপে রয়েছে।

সম্প্রতি পরমাণু অস্ত্র রাখা নিয়ে নিজেদের সংবিধানের পরিবর্তন করেছে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশ। এবার সেই পথেই হাঁটছে সোভিয়েত ইউনিয়নে যুক্ত থাকা পোলান্ড।

news24bd.tv/মামুন