এসডিজি বাস্তবায়ন বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে: মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন

এসডিজি বাস্তবায়ন বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে: মোমেন

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে উন্নয়ন সহযোগীরা প্রস্তাবিত চাহিদার মাত্র তিন শতাংশ তহবিল দিচ্ছে। পর্যাপ্ত অর্থায়ন পাওয়া না গেলে, এসডিজিগুলো অর্জন করা যাবে না এবং লক্ষ্যসমূহের বাস্তবায়ন অসমাপ্ত থেকে যাবে। ’

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ‘এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের যাত্রা: আলোচনা থেকে বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধারণা অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী এসডিজি অর্জনের জন্য প্রতি বছর ৩.৫ ট্রিলিয়ন থেকে ১১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। তবে বর্তমানে, উন্নয়ন সহযোগীরা বছরে গড়ে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে, যা প্রস্তাবিত এসডিজি বাস্তবায়ন চাহিদার প্রায় ৩ শতাংশ। তিনি এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং অর্থায়নকে এসডিজি বাস্তবায়নের ১ নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসাবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে সংঘাত ও অনিশ্চয়তার কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলার বিঘ্ন কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, তখন এসডিজিগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ঘাটতি ইতোমধ্যে আরও বেড়ে গেছে।

 

ড. মোমেন বলেন, কোভিড পরবর্তী যুগে, উন্নয়নশীল বিশ্বের শিল্পায়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত হওয়া সহ তাদের উৎপাদন সক্ষমতা উন্নত করতে আগের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ ও তহবিল প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে উন্নয়নশীল বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এসব বিষয়গুলোর মধ্যে জলবায়ু অর্থায়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর, বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা।

তিনি বলেন, দেশগুলোকে তাদের কষ্টার্জিত উন্নয়ন সাফল্যগুলোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য একটি সংকট প্রশমন ও সহনশীলতা গড়ে তোলা তহবিল গঠন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের অবশ্যই সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

news24bd.tv/ইস্রাফিল