লড়াই করেই হারল ভারত 

সংগৃহীত ছবি

লড়াই করেই হারল ভারত 

অনলাইন ডেস্ক

বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে এসেছিল ৪০ ওভারে। কার্টেল ওভারের ফায়দা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে তোলে ২৪৯ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই পড়ে বিপদে। একাধিক উইকেট হারিয়ে স্লথ করে ফেলে রান তোলার গতি।

শেষ পর্যন্ত ওই বাজে শুরুই কাল হলো ভারতের। শেষদিকে তাই শ্রেয়াস আইয়ার এবং সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে ভারত ভালো লড়লেও, তাদের ইনিংস দুটি হারের ব্যবধান কমানো বৈকি কোনো কাজে আসেনি। আজ বৃহস্পতিবার লক্ষ্ণৌতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯ রানে হেরেছে ভারত।

শুরুর দিকে কঠিন করে ফেলা ম্যাচে ভারতের শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩০ রান।

তবে ১ ছক্কা আর ৩ চারে ২০ রানের বেশি নিতে পারেননি স্যামসন। নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৮ উইকেট হারানো ভারত থামে ২৪০ রানে। আর ৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা ভারত বিপদে পড়ে ৮ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে। তৃতীয় ওভারে ৩ রান করে শুভমন গিল ফেরার পর ষষ্ঠ ওভারে ফেরেন ৪ রান করা শিখর ধাওয়ান। দুজনের বিদায়ের মাঝে ১৫ বলে কোনো রানই নিতে পারেনি ভারত। তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ঈশান কিষান ৪০ রান যোগ করলেও, খুব দেখেশুনে খেলেন তারা।

তবে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ভারত ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে। দলীয় ৪৮ রানে বিদায় নেন ১৯ করা রুতুরাজ। এরপর ২০ রান করে কিষানও ধরেন তার পথ। ৫১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো ভারত মাথা তুলে দাঁড়াবার সুযোগ পায় আইয়ার এবং স্যামসনের প্রতি-আক্রমণে। দুজনেই ব্যাট চালান, রান তোলেন দ্রুত।

এ জুটির ওপর ভর করে ভারত হয়তো ম্যাচটা জিতে জেতেও পারত। তবে তা হয়নি ঠিক ফিফটি করে আইয়ার ফিরে না গেলে। শারদুল ঠাকুরকে নিয়ে স্যামসন আর একবার চেষ্টা করেছিলেন বটে। তবে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান এতই ছিল যে, তার ৬৩ বলে খেলা ৮৬ রানের ইনিংসও ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেনি। শারদুলের ৩৩ রানের ইনিংসও তাই আসেনি কোনো কাজে।

অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলে ৪৯ রান। জানেমান মালান ২২ রান করে ফিরতে ভাঙে এ জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে একবারই চাপে পড়ে। সেটা ১ রানের ব্যবধানে টেম্বা বাভুমা এবং এইডেন মার্করামকে হারিয়ে। ১৪ ও ১৫তম ওভারে যথাক্রমে বাভুমা (৮ রান) এবং মার্করাম (০ রান) সাজঘরে ফিরে যান।

এরপর ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে কুইন্টন ডি কক (৪৮ রান) মাঠ ছাড়লেও, হেনরিক ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলারের ঝোড়ো ব্যাটে উড়তে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেন এবং মিলার ইনিংসের শেষ পর্যন্ত থাকেন অপরাজিত। ক্লাসেন ৬৫ বলে করেন ৭৪ রান। ৬৩ বল খেলা মিলারের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

news24bd.tv/সাব্বির