নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে এক মণ ইলিশসহ চার জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। জব্দকৃত ইলিশ মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটককৃত তিন জেলেসহ চারজনকে পাঁচ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন এ আদালত পরিচালনা করেন।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে বাজারে বিক্রির জন্য ইলিশ মাছ নেওয়ার পথে উপজেলার নলচিরা ঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো, আনোয়ার হোসেন (২১), মো. নুরুন নবী (২৮), আবদুল কুদ্দুস (২১) ও মাছ বহনকারী মো. নুর উদ্দিন (২৫)।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ সময় সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
অপর দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ইলিশ মজুত করায় ২ মণ ইলিশ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে জব্দকৃত ২মণ ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। শুক্রবার সকালে উপজেলার সোনাপুর বাজারে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ বিন আখন্দ।
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. বায়েজীদ বিন আখন্দ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ইলিশ মজুদ রাখার অপরাধে ২ মণ ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ মাছ ৩টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
news24bd.tv/কামরুল