নিফাক বা অন্তরে কপটাতা পোষণ করা সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। ইসলামের ভাষায়- যারা সমাজে খারাপ কাজ করে থাকে তারাই মুনাফিক।
আর আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী, মুনাফিকের স্থান হবে জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে। যাকে বলা হয় ‘হাবিয়া’।
কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তা’আলা মুনাফিকের অবস্থান নির্ণয় করে বলেন-
‘নিশ্চয় মুনাফিক (ব্যক্তিরা) জাহান্নামের সর্বশেষ স্তরে অবস্থান করবে। আর তাদের জন্য কখনো কোনো সাহায্যকারী থাকবে না। ’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫)
হাদিসে পাকে নবী করিম (সা.) পরিপূর্ণ মুনাফিকের পরিচয় ও মুনাফিকের স্বভাব তুলে ধরেছেন। যাতে মুমিন-মুসলমান এ সব কাজ থেকে নিজেদের হেফাজত করতে পারেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘৪টি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে সে প্রকৃত (পরিপূর্ণ) মুনাফিক। আর যার মধ্যে এর (৪টির) একটি থাকবে, তার মধ্যে মুনাফিকের (স্বভাব) চিহ্ন থাকবে; যে পর্যন্ত না সে তা পরিহার করে।
মুনাফিকের ওই ৪টি স্বভাব হলো-
• যখন তার কাছে কিছু আমানত রাখা হয়, তা সে খেয়ানত করে।
• যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে।
• ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং
• ঝগড়া করলে অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে। ’ (বুখারি ও মুসলিম)
যারা এ সব কাজে জড়িত থাকবে তারাই পরিপূর্ণ অর্থাৎ প্রকৃত মুনাফিক। তাদের জন্য জাহান্নামের সবচেয়ে তলদেশ সুনির্ধারিত। আর জাহান্নামের তলদেশকে বলা হয় হাবিয়াহ।
মুনাফিকদের মধ্য থেকে যারা এ ৪টি কাজ পরিত্যাগে ঐকান্তিকতার সঙ্গে যত্নবান হবে; সে জাহান্নামের যাওয়ার পরিবর্তে ঈমানদারদের সঙ্গে জান্নাতে যাবে।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর