মহাত্মা গান্ধীর ভোগবিমুখ জীবন রাজনীতিকদের জন্য শিক্ষণীয় 

সংগৃহীত ছবি

মহাত্মা গান্ধীর ভোগবিমুখ জীবন রাজনীতিকদের জন্য শিক্ষণীয় 

সোহেল সানি

ভোগবিলাসের জীবন কিভাবে ভোগবিমুখ হয়ে উঠতে পারে, তার সাক্ষাৎ দৃষ্টান্ত মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ভারত বিভাগ হলেও তার জীবনী আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে।  

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ‘মহাত্মা গান্ধী’ হয়ে ওঠা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারত জাতির পিতা হয়ে ওঠার নেপথ্যে তাঁর অপরিসীম ত্যাগ যে কতটা কাজ করেছিলো, সেদিকটায় আমরা চোখ রাখতে পারি।  ডজন ডজন প্যান্টশার্ট, স্যুট-কোটপরা ভোগবিলাসী ব্যারিস্টার মোহনদাস করমচাঁদ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে প্রত্যাবর্তন করার পর থেকেই মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনেন।

অর্ধধুতি পরিহিত নিরামিষভোজী গান্ধী একজোড়া খরম পায়ে পথ চলতেন। গান্ধীজী মনে করতেন, আত্মশুদ্ধি ছাড়া জীবমাত্রের সঙ্গে, প্রতিটি বস্তুর সঙ্গে ঐক্যবোধ হয় না। যার অন্তরে অশুদ্ধ পরমাত্মা দর্শন তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এই শুদ্ধি সংক্রামকও বটে, যার লাভ হয় তাঁর চারপাশের আবেষ্টনীও শুদ্ধ হয়।
 আত্মশুদ্ধির পথ অত্যন্ত দুর্গম ও দুরারোহ। নিষ্কলঙ্ক শুদ্ধি ও পবিত্রতালাভ করতে হলে চিন্তায়, বাক্যে এবং কাজে আসক্তিশূন্য হতে হয়। প্রেম বা বিদ্বেষ, অনুরাগ বা বিরাগ-এসব পরস্পরবিরোধী চিত্তবৃত্তির উর্ব্ধে উঠতে হয়।

অবশ্য গান্ধী চরম আত্মশুদ্ধি  করেও বলেছেন, এই ত্রিবিধ পবিত্রতা লাভ করতে চেষ্টা করেও পারিনি। এজন্যই মানুষের স্তুতি আমাকে স্পর্ধিত করে না, আমাকে অহঙ্কারী করে না। বস্তুতঃ এসব স্তুতি আমাকে আঘাতই করে মাত্র। চঞ্চল রিপুকে জয় করা, অস্ত্রবলে পৃথিবীকে জয় করা অপেক্ষাও ঢের বেশি দুঃসাধ্য। আমার ভেতর সুপ্ত বিকারগুলোর প্রভাব প্রতিমুহূর্তেই অনুভব করেছি, তাতে দীনতাকে প্রকাশ করেছে কিন্তু পরাভূত হয়নি। আমার সম্মুখে দুর্গম যাত্রাপথ প্রসারিত। এই পথ অতিক্রম করতে হবে। এজন্য নিজেকে একেবারে নিঃস্ব রিক্ত করে তুলতে হবে। মানুষ যে পর্যন্ত স্বেচ্ছায় নিজেকে সবার শেষে, সবার দীন করে পেছনে না রাখে, সে পর্যন্ত তাঁর মুক্তি নেই। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী কারো মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে কর্মটি নিজেই সম্পাদন করতে পারলে সুফল পাওয়া যায় বলে মনে করতেন।  

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভোগবিলাসী জীবনই শুরু করেছিলেন। কিন্তু নানা ঘটনাক্রমে তাঁর মোহভঙ্গ হতে থাকলো। আত্মশুদ্ধির চিন্তায় তাঁকে পেয়ে বসলো। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা শুধু ভারত উপমহাদেশে নয়, সমগ্র পৃথিবীর রাজনীতিবিদদের জন্যই শিক্ষণীয় ব্যাপার হয়ে ওঠে।  একটা সময় গান্ধী দেখতে পেলেন যে, ধোপার খরচা খুব লাগছে। তারা কাপড় কাচাতেও বিলম্ব করতো। দুই-তিন ডজন শার্ট-প্যান্ট লাগতো গান্ধীর। শার্ট ও কলার পৃথক থাকায় কলার বেশি কাচতে হতো। কলার প্রতিনিয়ত বদলাতেন তিনি। এতে ধোপা খরচ বেশি হতো। একে গান্ধী অনাবশ্যক মনে করলেন। কাপড় কাচা সম্মন্ধে বই পড়ে ধোপার বিদ্যা শিখে নিলেন।

প্রথমদিন হাতে কাচা কলারের ময়লা দূর করতে এরারুট বেশি দিয়ে ফেলেন। আধা গরম ইস্ত্রি চালালেন তার ওপর। এতে কলার এরারুট দৃশ্যমান হয়ে থাকলো। সেই কলার পরেই গান্ধী কোর্টে গেলেন। দেখে ব্যারিস্টার বন্ধুরা তো মজা করলো, হাসিঠাট্টায় ফেটে পড়লেন। ব্যারিস্টারদের বললেন, কলার নিজেই ধুইয়েছি, এরারুট বেশি পড়েছিলো। প্রথম চেষ্টা বলে এরারুট উঠে যাচ্ছে। তাতে আমার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, উপরন্তু আপনাদের সকলের আমোদ হচ্ছে, বেশ ভালোই তো।
একজন বললেন, ধোপা পাওয়া যায় না, নাকি? 

গান্ধীজী তাঁর আত্মকথায় লিখেছেন, আমি এই সাবলম্বনের সৌন্দর্য বন্ধুদের বুঝাতে পারিনি। কালক্রমে আমি ধোপার কাজ বেশ ভালোরকম শিখেছিলাম। ধোপার অপেক্ষা কোনক্রমেই তা খারাপ হতো না। স্বর্গগত মহামতি গোবিন্দ রাণাডে গোপাল কৃষ্ণ গোখলেকে প্রীতির নির্দশন স্বরূপ একখানা উত্তরীয়বস্ত্র দান করেছিলেন। গোখলে সেটা বিশেষ যত্নে রাখতেন এবং বিশেষ বিশেষ দিনে ব্যবহার করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গের ভারতীয়রা গোখলের সম্মানে একবার নৈশভোজ দিয়েছিলো। উত্তরীয়বস্ত্রটি ব্যবহার করতে চাইলেন। কিন্তু সেটি  ইস্ত্রি করা ছিলো না। কোঁচকিয়ে থাকা বস্ত্রটি ব্যবহারের উপযোগীও ছিলো না। তাড়াতাড়ি ইস্ত্রি করে আনাও সম্ভব সম্ভব হচ্ছিল না। ভাবশিষ্য করমচাঁদ গান্ধী নিজেই ইস্ত্রি করে দিতে চাইলেন। গোখলে আশ্বস্ত না হয়ে বললেন, ‘তোমার ওকালতির ওপর বিশ্বাস করতে পারি, কিন্তু এই উত্তরীয়বস্ত্রখানার ওপর তোমার ধোপাগিরির পরীক্ষা করতে দিবো না। যদি উত্তরীয়খানা খারাপ করে ফেলো? এটার মূল্য তুমি জানো?’ সর্বভারতীয় কংগ্রেস প্রধান গোখলে উপহারখানা পাওয়ার ইতিহাস শুনালেন ব্যারিস্টার গান্ধীকে।  

সবিনয়ে গান্ধী বললেন, ‘আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি যে, আমার হাতে উত্তরীয়খানা খারাপ হবে না। ’ গোখলে তাৎক্ষণিক অনুমতি দিলেন।  গান্ধীর ভাষায়, ‘ইস্ত্রি করার পর গোখলের কাছ থেকে ধোপাগিরির সার্টিফিকেট পেলাম, অতঃপর সারা পৃথিবীও যদি আমার ধোপাগিরির যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে তাতে কি আসে যায়?’ গান্ধী লিখেছেন, ‘আমি ধোপার মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্তি পেলাম কিন্তু কদিন পরেই নাপিতের অধীনতা থেকেও মুক্ত হওয়ার একটি ঘটনা ঘটলো। ’ 

বিলাতে যাঁরা যান, তারা সবাই নিজে নিজেই দাড়ি কামাতে শিখেন। কিন্তু নিজের চুল নিজে কাটতে শিখে - এ কথা জানি না।  একদিন গান্ধী এক ইংরেজ নাপিতের দোকানে গেলেন চুল কাটাতে। কিন্তু রূঢ় আচরণের শিকার হলেন। সাদা চামড়ার নাপিত কালা চামড়ার লোকের চুল কাটবে না। সম্মানহানি অনুভূত হলো গান্ধীর মনে। তিনি চুল ছাঁটাই ক্লিপ কিনে এনে নিজ কক্ষে আয়নার সম্মুখে দাঁড়িয়ে চুল ছাঁটলেন। সম্মুখের চুলের সঙ্গে পেছনের চুল ছাঁটার মিল হলো না। কোর্টে গেলেন, গান্ধীকে দেখে আবারও হাসাহাসি শুরু হয়ে গেলো।  ‘আপনার মাথার চুল কি ইন্দুরে খেয়েছে’- লোকদের হাসিঠাট্টার জবাবে গান্ধী বললেন, ‘আরে না! আমার কালো মাথা কি ধলা নাপিত স্পর্শ করতে পারে? তার চেয়ে যেমন তেমন করে নিজের হাতেই চুল ছাঁটা ঢের ভাল ‘ গান্ধী অবশ্য এতে দোষ দেখলেন না নাপিতের। কেননা তাঁর উপলব্ধি হয় যে, কালো লোকের চুল ছাঁটলে তো শ্বেতকায় খরিদ্দার হাতছাড়া হয়ে যাবে।  

১৮৯৬ সালে গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে ভারতে ফেরেন। গান্ধী কিন্তু বুয়ার যুদ্ধ শেষেই স্বদেশে ফেরেন। ব্রিটিশ রাজের প্রতি আনুগত্য রক্ষার প্রেরণাই গান্ধীকে বুয়ার যুদ্ধে টেনে নিয়েছিলো। তখনও তিনি মনে করতেন, ব্রিটিশ প্রজা বলে প্রজার অধিকার চাই। ব্রিটিশ রাজ্য রক্ষার যেই যুদ্ধ, ব্রিটিশ প্রজা হিসেবে তাতে যোগ দেয়া তো তাঁর ধর্ম। ভারতবর্ষের সম্পূর্ণ উন্নতি ব্রিটিশ শাসনাধীনেই হতে পারে - এই বিশ্বাসও তখন গান্ধীর বিশ্বাসে। গান্ধী এজন্যই একটা ১১০০ সদস্যের একটা সঙ্গী দল করে আহতদের শুশ্রূষা করা শুরু করলেন। এরমধ্যে ৩০০ জন ভারতীয়।  জেনারেল বুলার দলপতিরা যুদ্ধের মেডেল ও পুরস্কার পান। গান্ধী মনে করতেন, সত্য এক বিশাল বৃক্ষ, পরিচর্যা করলে তা থেকে ফল লাভ করা যায় - উহার অন্ত নেই - যতই উহার গভীরে প্রবেশ করা যায়, ততই উহা হতে রত্ন আহরণ করা যায়, সেবার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হয়ে ওঠে।  

গান্ধীর মন বললো, তাঁর কার্যক্ষেত্র দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, ভারতবর্ষ। নাতালের ভারতীয়দের ভালোবাসার অমৃতে গান্ধীকে ডুবিয়ে রেখেছিলো। বিদায়কালে তিনি বহু মূল্যবান উপহার পেয়েছিলেন। সোনা-রূপার তো ছিলোই, হীরার অলঙ্কারও ছিলো। উপহারগুলোর মধ্যে একটা পঞ্চাশ গিনির হার গান্ধীর পত্নী কস্তুরবাঈ এর জন্য ছিলো। এসব উপহার জনসেবার জন্য।  

কিন্তু সারারাত বিনিদ্র অবস্থায় কাটলো গান্ধীর। তিনি মনে করলেন উপহার সামগ্রী ফিরিয়ে দেয়া কষ্টকর কিন্তু রাখাও তো ততোধিক কষ্টকর। সেবার মূল্য নিতে নেই এই শিক্ষার তাহলে কি হবে? সোনার চেইন, সোনার ঘড়ি, হীরার আংটি কে ব্যবহার করবে? গান্ধী স্থির করলেন না, এসব জিনিস রাখবেন না। পারসী রুস্তুমজী ও অন্যান্যকে পত্র লিখলেন, ট্রাস্টি করে সমুদয় গহনা তাদের সম্প্রদায়ের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য। বাধা হয়ে দাঁড়ালেন পত্নী। পত্নী গান্ধীকে বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমাকে আমি জানি। আমার গহনাগাঁটি কে নিয়েছে, তুমি না? আমাকে না হয় না-ই পরতে দিলে, কিন্তু বউদের জন্য কি রাখবে না? ছেলেদের তো বৈরাগী বানাচ্ছো। আমাকে যে রাতদিন খাটিয়ে যাকে ইচ্ছে তাকে বাড়িতে রাখো, আমাকে দিয়ে দাসীগিরি করাও তা কী সেবা নয়?’ পত্নীর যুক্তি তীক্ষ্ণবাণ হলেও শেষ পর্যন্ত গান্ধীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ট্রাস্টি গঠন হলো। ট্রাস্টিদের ইচ্ছামতো এগুলো জনসেবার জন্য ব্যয় হবে - এই শর্তে ব্যাংকে রাখা হলো। পত্নীও পরে বুঝতে পেরেছিলো যে, পতির সিদ্ধান্তই সঠিক।

সত্যের পূজারীকে কতটা সাবধান হওয়া অনস্বীকার্য সে সম্পর্কে গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি নজর দেয়া যায়। গান্ধীর মতে, যাঁরা সাধারণের কাজ করেন, তাঁদের বিশ্বাসের ওপর নির্ভর না করে যা নিজে অনুসন্ধান করে জানা গেছে তাই বলা উচিত। কোন বিষয়ে পুরো অনুসন্ধান না করে সে বিষয় সম্বন্ধে অপরের বিশ্বাস জন্মে দেয়ার সত্যের ওপর এক চরম আঘাত করা। এটা যেনো তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করা আমার প্রকৃতিগত অভ্যাস। শক্তির অপেক্ষা অতিরিক্ত কাজ করা একটা লোভনীয় বিষয়। গান্ধী লিখেছেন, ‘আমি অল্পস্বল্প পুস্তক পড়েছি তা ভালোরকম হৃদগত করেছি বলে মনে করি। এসব পুস্তকের মধ্যে Unto this hast আমার জীবনে মহৎ পথগ্রহণ করার মতো উপযুক্ত মানসিক পরিবর্তন এনে দেয়। পরে আমি পুস্তকটি অনুবাদ করে ‘সর্বোদয়’ নাম দিয়েছিলাম।  

গ্রন্থটি আমার ওপর প্রভাব বিস্তার করছিলো, এবং গ্রন্থটির নির্দেশ অনুযায়ী আচরণও করে নিয়েছিলো। নিজের ভেতর যেসব ভাবনা সুপ্ত থাকে, তা জাগ্রত করার শক্তি যে ধারণ করে, সে-ই কবি। সবার ওপর সব কবির সমান প্রভাব হয়না। কেননা সব ভাবনা একভাবে গঠিত হয়না। সর্বোদয়ের সিদ্ধান্ত এরকম আমি বুঝেছি যে, (এক) ব্যক্তির কল্যাণ সমষ্টির কল্যাণের মধ্যে নিহিত।  (দুই) একজন উকিলের কাজের মূল্য একজন নাপিতের কাজের মূল্যের সমান, কেননা নিজে কাজের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জনের অধিকার উভয়েরই সমান।  (তিন) শ্রমিকের জীবন অর্থাৎ সাধারণ মজুর ও কৃষকের জীবনই আদর্শ জীবন। রাস্কিনের লেখা ‘আনটু দিস লাস্ট’ নামক গ্রন্থটি গান্ধীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ওয়েস্টে নামক এক ইংরেজ। ওয়েস্টে গান্ধীকে এক রেলস্টেশনে বিদায় দেয়ার আগে বলেছিলেন, ‘গ্রন্থটি রাস্তায় পড়ার উপযুক্ত, পড়ে দেখবেন, আপনার নিশ্চয় ভালো লাগবে। ’ 

গান্ধীজী ‘আত্মকথা’ নামক গ্রন্থে লিখেছেন, ‘সত্যাগ্রহ শব্দের উৎপত্তির আগেও এটা যে কী জিনিস তা পরিচয় পাচ্ছিলাম না। গুজরাটী ভাষাতে আমরা ইংরেজি ‘প্যাসিভ রেজিস্টান্স’ শব্দ দ্বারা পরিচিত করছিলাম। 'ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন' পাঠকদের কাছ থেকে একটা নাম চাওয়া হলো যখন 'প্যাসিভ রেজিস্টান্স' শব্দের সংকীর্ণ অর্থ করা হচ্ছিল। প্রতিযোগিতার ফলে সৎ+আগ্রহ মিলিয়ে 'সদাগ্রহ' সৃষ্টি করলেন মগনলাল গান্ধী। এই শব্দটিকে সম্পূর্ণ স্পষ্ট করার জন্য গান্ধী 'য' -ফলা দিয়ে 'সত্যাগ্রহ' এই গুজরাটি শব্দ সৃষ্টি করলেন। গান্ধী এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যাগ্রহের ইতিহাস রচনা করে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছিলেন।

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস গবেষক।