‘প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে রাঙামাটিতে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করা হবে’

‘প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে রাঙামাটিতে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করা হবে’

ফাতেমা জান্নাত মুমু  • রাঙামাটি

আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে রাঙামাটিতে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান।  

তিনি বলেন, ‘সরকার আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটাতে রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একদিন পার্বত্যাঞ্চলকে উন্নয়নের শীর্ষে পৌঁছে দিবে। ’ 

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল গবেষণা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রায়োগিক শিক্ষার সম্প্রসারণ ও সুস্থ নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সম্প্রীতি, শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার করার কারিগর হিসেবে শিক্ষকদের শিক্ষার প্রতি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।

আজ (১১ আগস্ট, শনিবার)  রাঙামাটি পর্যটন কপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান এসব কথা বলেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অঞ্জন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপ-সচিব শাহীন সিরাজ, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব জাকিয়া পারভিন প্রমুখ।

news24bd.tv

প্রফেসর আব্দুল মান্নান আরও বলেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার মান উন্নয়নে একদিন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। কারণ, পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে উচ্চশিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে, তার জন্য সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কিছু দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলেই শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে।

দিনব্যাপী আয়োজিত বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি শীর্ষক এ কর্মশালায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে চালু হওয়া রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ব্যাচে ২৬৬জন শিক্ষার্থী অস্থায়ী ক্যাম্পাসে অধ্যয়ন করছে।  অস্থায়ী ক্যাম্পাসটি শহরের অদূরে ভেদভেদীতে অবস্থিত।


মুমু/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর