বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন ফখরুল

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় সংসদ থেকে দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘যখন চূড়ান্ত হবে, যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে আসব; তখন আপনারা দেখতে পারবেন। ’

রোববার থেকে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে ‘জনগণের অভ্যুত্থান’ এর প্রকাশ ঘটবে বলেও মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে সংলাপের পর মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে এ বৈঠক করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রত্যাশা জনগণের একটা অভ্যুত্থান হবে, এই সমাবেশগুলোর মধ্য দিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে। জনগণ আসবে এসব সমাবেশে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাব।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা এই অনির্বাচিত, গণতন্ত্র হরণকারী, মানবাধিকার হরণকারী, লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বেশ কিছু দিন ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছি। ইতিমধ্যে একদফা সংলাপ শেষ করেছি। আজকে দ্বিতীয় দফার সংলাপ করছি। এখানে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মূল দাবিগুলো নিয়ে কথা বলছি।

এখন পর্যন্ত ১১টি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দ্বিতীয় দফা সংলাপে এখন পর্যন্ত ১১টি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটি লীগ যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব ও ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন।

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ হবে। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি ৯ বিভাগে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে, যার প্রথমটি হবে চট্টগ্রামে। ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করবে দলটি। ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায়, ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায়, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে মহাসমাবেশ হবে।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম সাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

news24bd.tv/তৌহিদ