গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় ফেটাস এবং প্লাসেন্টা বৃদ্ধি পায় কিনা সে বিষয় অনেক সচেতন হতে হয়। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারী। এ সময় যে খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ তা নিম্নে দেওয়া হলো।
কার্বোহাইড্রেট
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে রিফাইন কার্বোহাইড্রেট যেমন- সাদা চালের ভাত, সাদা আটার রুটি কম খেতে হবে। লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি এই খাবারগুলো পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে।
প্রোটিন
মাছ, মাংস, ডিম পরিমাণমতো গ্রহণ করতে হবে। সকল প্রকার মাছ খাওয়া যাবে কিন্তু কিছু কিছু সামুদ্রিক মাছ অর্থাৎ যে মাছগুলোর মার্কারি লেবেল বেশি সেই মাছগুলো খাওয়া যাবেনা যেমন- টুনা মাছ, যেসব মাছের মার্কারি লেভেল কম সেসব মাছ খাওয়া যাবে যেমন- সালমন ফিস।
চর্বিযুক্ত মাংস পরিহার করতে হবে এবং এই সময় পরিমাণ মতো দুধ গ্রহণ করতে হবে।
ফ্যাট
অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড এবং উদ্ভিজ তেল গ্রহণ করতে হবে।
ভিটামিনযুক্ত খাবার
ভিটামিন- A : কালারফুল শাকসবজি, ফল, কলিজা পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কলিজা বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না। এতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ থাকে যার জন্য ভিটামিনোসিস হয় ফলে মিসকারেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিটামিন- B : দুধ, ডিম, দুধের তৈরি দই, ক্ষীর।
ভিটামিন- B9 : শস্য, বীচি, গোটা শস্য, ডাল, বাদাম।
ভিটামিন- C : টক জাতীয় ফল, তাজা ফল, সবজি, কাঁচা মরিচ, আমলকি, আমড়া, পেয়াজ, লেবু।
ভিটামিন- D : কালারফুল শাকসবজি, ডিমের কুসুম, পাকা ফল ইত্যাদি খাবারগুলো খেতে হবে।
মিনারেলস জাতীয় খাবার
আয়রণ : ডিম, কলিজা, সবুজ শাকপাতা, কলমি শাক, কালো কচু শাক, শুকনা ফল, গুড়।
ক্যালসিয়াম : লাল শাক, শুটকি, লাউ শাক, ডাল, ছোট মাছ, সয়াবিন।
এছাড়া জিংক, ফসফরাস, সোডিয়াম জাতীয় খাবারগুলো পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে।
ফ্লুইড
ফ্লুইড জাতীয় খাবারগুলো প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। দিনে (২.৫-৩) লিটার পানি পান করতে হবে। বিভিন্ন ফলের রস বা জুস খেতে হবে। এ সময় গর্ভবতী মাকে হাইড্রেড থাকতে হবে।
যে খাবারগুলো বাদ দিতে হবে
★ অধিক মিষ্টি জাতীয় খাবার
★ জাংক ফুড
★ পনির
★অ্যালকোহল
★ পেঁপে, আনারস, গাজর, সজনে ডাটা
★ কাচা ডিম, মেয়োনেজ, আধাকাচা খাবার
★ প্রক্রিয়াজাত খাবার
লেখক : ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, বিএনকে হসপিটাল লিমিটেড
news24bd.tv/রিমু