ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিতে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। প্রতিদিনই চালানো হচ্ছে রকেট হামলা। পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে রুশ বাহিনী। এমতাবস্থায় অধিকৃত খেরসন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলছে রাশিয়া।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রসর ও প্রতিদিনের রকেট হামলার কথা উল্লেখ করে অঞ্চলটিতে মস্কোর নিয়োগ করা নেতা ভ্লাদিমির সালদো অধিকৃত খেরসন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলছেন।
বেসামরিকদের নিজেদের রক্ষায় রাশিয়ায় গিয়ে অবকাশযাপন ও পড়ালেখা করতে বলেছেন সালদো। এমনকি ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পরাস্ত করতে মস্কোর সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
তবে খেরসনে বেসামরিক বাসিন্দাদের ওপর হামলার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ।
সম্প্রতি উত্তর-পশ্চিম খেরসনের কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এমনকি তারা অঞ্চলটির রাজধানীর খুব নিকট পর্যন্ত চলে গিয়েছে।
দক্ষিণ রাশিয়া এবং ক্রিমিয়ার জন্য বিশেষ দায়িত্ব পালন করা মারাত খুসনুলিন বলেন, ‘সরকার খেরসন অঞ্চলের বাসিন্দাদের দেশের অন্যান্য অঞ্চলে চলে যাওয়ার জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা প্রত্যেককে বিনামূল্যে বাসস্থান এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু দিব। ’
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, খেরসন থেকে একটি দল শুক্রবার রস্তভ প্রদেশে পৌঁছাবে।
রস্তভ প্রদেশের গভর্নর ভ্যাসিলি গলুবেভ বলেন, ‘খেরসন অঞ্চল থেকে যারা আমাদের কাছে আসতে চায় তাদের প্রত্যেককে গ্রহণ করবে এবং স্থান দেয়া হবে। ’
রুশদের হটাতে অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে মার্কিন রকেট হিমরাস ব্যবহার করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তারা রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি মস্কোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে খেরসনই একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রুশ বাহিনীর দ্বারা দখল করা হয়েছে। ক্রিমিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কিয়েভ।
বৃহস্পতিবার বক্তৃতাকালে সালদো বলেন, ‘এই অঞ্চলের প্রধান দুই শহর খেরসন এবং নোভা কাখোভকায় প্রতিদিন রকেট হামলা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এসব হামলায় গুরুতর ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে নেপিয়ার নদীর পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের। তারা রাশিয়া বা ক্রিমিয়াতে সরে যেতে পারে। ’
চলতি মাসের শুরুর দিকে গণভোটের পর খেরসনকে নিজেদের ভূখণ্ডে সংযুক্ত করে মস্কো। এ ছাড়া ইউক্রেনের আরও তিনটি অঞ্চলও সংযুক্ত করে পুতিন। ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। তারা বলছে, সংযুক্তির কোনো আইনি ক্ষমতা নেই।
আরও পড়ুন: খেরসনে নিজেদের অগ্রগতির দাবি ইউক্রেনের
news24bd.tv/মামুন