জার্মানিতে প্রথমবারের মতো গ্যাস পাঠাল ফ্রান্স

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলর (ছবি: গেটি ইমেজ)

জার্মানিতে প্রথমবারের মতো গ্যাস পাঠাল ফ্রান্স

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানি। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে দেয়া নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ইউরোপের দেশটিতে জ্বালানি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে মস্কো। এতে করে জ্বালানি সংকটে রয়েছে জার্মানি। সংকট এড়াতে দেশটিকে প্রথমবারের মতো গ্যাস সরবরাহ করেছে ফ্রান্স।

খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকটের মধ্যে ফ্রান্স প্রথমবারের মতো জার্মানিতে গ্যাস পাঠিয়েছে। ইউরোপীয় সংহতিতে এ জ্বালানি পাঠাল প্যারিস।

জ্বালানি সংকটের মধ্যে ইইউ দেশগুলো একটি চুক্তি করে।

সেই চুক্তির অংশ হিসেবে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস পাঠিয়েছে ফ্রান্স।

বিবিসি বলছে, ফ্রান্স যে গ্যাস পাঠিয়েছে তা জার্মানির দৈনিক চাহিদা ২ শতাংশেরও কম। তবে ফ্রান্সের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছে বার্লিন।

ইউক্রেনে যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়া জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পশ্চিমাদের।  

বৃহস্পতিবার এ সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের গ্যাস সরবরাহ কোম্পানি জিআরটিগ্যাজ। এক বিবৃতিতে তারা জানায়,  প্রাথমিকভাবে পাইপলাইন দিয়ে প্রতিদিন ৩১ গিগাওয়াট সরবরাহ করা হবে। সীমান্ত গ্রাম ওবারগেইলবাচ থেকে একটি পাইপলাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। পাইপলাইনটি দিয়ে দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ গিগাওয়াট সরবরাহ করা যাবে।

গত মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস একটি জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তিও করেছিলেন। ওই সময় প্রয়োজনে ফ্রান্সকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় জার্মানি। অন্যদিকে জার্মানিকে গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করতে সম্মত হয় ফ্রান্স।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট মানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, ‘আমাদের যদি ইউরোপীয় সংহতি এবং একটি সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধ বাজার না থাকে, তবে আমাদের গুরুতর সমস্যা হবে। ’

রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েনি ফ্রান্সে। কারণ তাদের বেশিরভাগ জ্বালানি আসে নরওয়ে থেকে।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে গ্যাসের দাম বাড়তে থাকে। এর ফলে বিপাকে পড়ে ইউরোপের দেশগুলো। রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে জ্বালানি কিনছে তারা।

যুদ্ধের আগে জার্মানির মোট চাহিদার ৫৫ শতাংশ গ্যাস আমদানি করতো রাশিয়া থেকে। তবে বর্তমানে এটি ৩৫ শতাংশে চলে এসেছে। আমদানির পরিমাণ শূন্যের কোটায় আনতে চায়ে বার্লিন।

গ্যাস সংকটে জার্মানি কয়লার ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে। পরিবেশগত প্রভাব সত্ত্বেও বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ফের চালু করছে।

news24bd.tv/মামুন