'সেই বিউটিশিয়ান' অন্তঃসত্ত্বা নন

সংগৃহীত ছবি

'সেই বিউটিশিয়ান' অন্তঃসত্ত্বা নন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধানমন্ডির শুক্রাবাদে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী বিউটিশিয়ান। ফোন কলে ডেকে এনে গণধর্ষণ করা হয় তাকে। অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। তবে আল্ট্রাসনোতে জানা গেলো, অভিযোগকারী‌ ‌‘সেই বিউটিশিয়ান’ অন্তঃসত্ত্বা নন।

গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে ফোন করে সাভার থেকে বিউটি সার্ভিসের জন্য ডেকে আনা হয় ওই নারী বিউটিশিয়ানকে। পরে সেখানে তিন যুবকের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। ওই রাতে সাভারে ফিরে গেলেও পরেরদিন বুধবার থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এরপরেই ঘটনার স্থান ও আসামিদের শনাক্তে মাঠে নামে পুলিশ।

সে সময়ে ভুক্তভোগী জানায়, তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গণমাধ্যমে খবরেও উঠে আসে সে তথ্য।

তবে শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম জানান, ওই নারীর পেটে বাচ্চার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিন্তু এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পুলিশকে ওই নারী জানিয়েছিলেন তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এ বিষয়ে বিলকিস জানান, আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে ওই নারী বিউটিশিয়ান অন্তঃসত্ত্বা নন। এখানে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করি। এর পাশাপাশি আল্ট্রাস্নোগ্রাম পরীক্ষায় দেখা যায় তার পেটে কোনো সন্তান নেই। ওই নারী এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলেও পরীক্ষার রিপোর্টে সেটা আসতো। কিন্তু পরীক্ষায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা এমন কিছুই ধরা পড়েনি। আজকে (১৫ অক্টোবর) তাকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩) নামে দুই যুবককে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীতে তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এইচএম আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই রকম আরও টপিক