মাদারীপুরের কালকিনিতে নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে কালকিনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল আকন ও তার স্ত্রী পুলিশের এএসআই মোসাম্মাৎ সাজেদা নাসরিনসহ দুইজনের নামে সরকারি (খাস) জমি বরাদ্দ নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওই বহুতল ভবন উচ্ছেদের জন্য এরইমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন জেলা প্রশাসন।
বাবুল আকন কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কালাইরচর গ্রামের রশিদ আকনের ছেলে ও তিনি কালকিনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পুলিশের এএসআই সাজেদা নাসরিন বাবুল আকনের স্ত্রী।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল আকন ও তার স্ত্রী সাজেদা নাসরিনসহ দুইজনের নিজ নামে কয়েক বছর পূর্বে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাট বন্দরের বাজারে সরকারি (খাস) জমির দুইটি চান্দিনা ভিটি বরাদ্দ নেয়।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে লিখিতভাবে কয়েকদফা ভবনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও তা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। তবে ওই সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন বহুতল ভবন উচ্ছেদ করে সরকারি জমি দখল মুক্ত (পুনরুদ্ধার) করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।
খাসেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. এমদাদ পেদা, কালাম সরদার ও সেকান্দার শিকদারসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, খাসেরহাট বাজারে চান্দিনা ভিটি বরাদ্দ নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন পুলিশের এস.আই সাজেদা নাসরিন ও তার স্বামী কালকিনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল আকন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কালকিনি যুবদলের সাবেক এই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বাবুল আকন বলেন, সরকারের প্রয়োজন হলে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারে। আমি নয়, বাজারে অনেক ব্যবসায়ীই আছে যারা সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। আমার একার ভবন নয়, সবার ভবনই ভাঙা উচিত।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, খাসেরহাট বাজারে বাবুল আকন ও তার স্ত্রীর অবৈধভাবে নির্মাণ করা বহুতল ভবন ভাঙার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন স্যার। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘সরকার জায়গায় অবৈধ দখলদারদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই পুরো জেলায় সরকারি সব সম্পত্তি উদ্ধার করা হবে। কাউকে অন্যায়ভাবে সরকারি সম্পত্তি ভোগ করতে দেয়া হবে না। ’