শিক্ষিকাকে বিয়ে করা সেই মামুনের জামিন

শিক্ষিকাকে বিয়ে করা সেই মামুনের জামিন

অনলাইন ডেস্ক

নাটোরে কলেজ শিক্ষিকাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা সেই মামুন (২২) জামিন পেয়েছেন। জানা গেছে, এক মাস ৮ দিন আগেই তিনি জামিন পেয়েছেন। বিষয়টি গোপন রেখেছিলো তার পরিবার।  তবে জট খোলেনি শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মৃত্যুর ঘটনার।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন গণমাধ্যমে জানান, শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার মামুনের জামিন আবেদন করা হয় গত ১৫ আগস্ট। তবে মামুনের জামিন আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে অস্থায়ী জামিনের আদেশ দেন সদর আমলি আদালতের বিচারক নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলজার রহমান। ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিনে জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

মামলা শুনানির জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।

শিক্ষক-ছাত্রের বিয়ের পরেই আলোচনায় আসে এ দম্পতি। গত ১৪ আগস্ট সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর খায়রুনের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দীন একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এই মামলায় মামুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

অভিযোগ করে শিক্ষিকার বড় ছেলে সালমান নাফি বলেন, ‌আমার মাকে আত্মহত্যা করার জন্য চাপ দিয়েছে ওই ছেলে। যার কারণে আমার মা বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি চাই আমার মায়ের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত হোক।

ঘটনার পরে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাবেক আরএমও সামিউল ইসলাম শান্ত বলেন, শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ভিসেরা রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এ জে মিন্টু জানান, এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এতে শিক্ষিকার মৃত্যুর সঙ্গে স্বামী মামুনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে এমন ধারণা থেকে তাকে ওই মামলায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, আলোচিত এই দম্পতির বিয়ে হয় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর। বিয়ের বিষয়টি ৩১ জুলাই জানাজানি হলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর ১৪ দিন পর ১৪ আগস্ট সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে খায়রুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে আটক করা হয়। পরে খায়রুনের চাচাত ভাইয়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই রকম আরও টপিক