তেলের দাম বাড়ল 

সংগৃহীত ছবি

তেলের দাম বাড়ল 

অনলাইন ডেস্ক

টানা মন্দাভাব চলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ২১ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৯২ দশমিক ৫ ডলার এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৮৫ দশমিক ৬৭ ডলার। খবর রয়টার্সের।

জানা গেছে, চীনের জ্বালানি সম্পদ কেনার পরিমাণ খুব শিগগিরই বাড়বে।

এমন খবরের পরই সোমবার শতকরা হিসেবে ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম প্রতি ব্যারেলে বেড়েছে যথাক্রমে দশমিক ২ শতাংশ ও দশমিক ১ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের মতে, তেলের বাজারে মন্দাভাবের বড় কারণ ছিল চীনের তেল কেনা কমিয়ে দেওয়া। কেননা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। তারাই করোনার সময় ‘জিরো কোভিড’ নীতি নেওয়ায় দেশটির শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন কমে যায়।

ফলে জ্বালানি তেলের চাহিদাও কমে গেছে সেখানে।

তবে সোমবার চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, চীনের সরকার কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জরুরি পণ্যসমূহ মজুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই হিসেবে সামনে বিশ্ব বাজার থেকে জ্বালানি সম্পদ কেনার পরিমাণ আরও বাড়াবে দেশটি।

তবে জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ভান্দা ইনসাইটসের কর্মকর্তা বন্দনা হরি তেমন আশার খবর দিতে পারেননি। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ৩ থেকে ৪ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। এই উত্থান বাজারের জন্য আশাব্যঞ্জক বটে। তবে এই অবস্থা কতদিন থাকে সেটা বড় প্রশ্ন। কারণ বাজারের কোনো গুণগত পরিবর্তন এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। আর আজকের দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে পরিবর্তন আসবে, এমন সম্ভাবনা নেই। ’

চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর ব্যাপক চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল জ্বালানি তেলের বাজার। কিন্তু গত জুন মাস থেকে পড়তে থাকে তেলের দাম। একই সময়ে ডলারের মানও বাড়তে থাকে এবং আন্তর্জাতিক তেলের বাজার প্রায় সম্পূর্ণ ডলার নির্ভর হওয়ায় বিদেশি মুদ্রার মজুত রক্ষার্থে তেল কেনার পরিমাণ কমিয়ে দেয় উন্নয়নশীল বিশ্বের বহু দেশ।

news24bd.tv/সাব্বির