নানা আয়োজনে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস

নানা আয়োজনে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস

অনলাইন ডেস্ক

‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ প্রতিপাদ্যে আজ ১৮ অক্টোবর প্রথমবারের মতো জাতীয় দিবস হিসেবে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ পালিত হবে। দেশেরে প্রতিটি জেলা-উপজেলার পাশাপশি বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।

এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন’ ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণী বলেছেন, বাংলাদেশের সব শিশুর মধ্যে আজও আমি রাসেলকে খুঁজে ফিরি। আমাদের মাঝে আজ শেখ রাসেল নেই, আছে তার পবিত্র স্মৃতি। দেশের শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘এই প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর ভালোবাসা ও পরম মমতায় রাসেলকে স্মরণ এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ‘আমি চাই এমন রাসেলের মতো উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিশু এগিয়ে আসুক। শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় জন্মগ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অত্যন্ত প্রিয় লেখক ছিলেন খ্যাতনামা দার্শনিক ও নোবেলজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেল। জাতির পিতা বার্ট্রান্ড রাসেলের বই পড়ে বঙ্গমাতাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন। তাই বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গমাতা দুজনে মিলে শখ করে তাদের আদরের ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘রাসেল’। রাসেল নামটি শুনলেই প্রথমে যে ছবিটি সামনে আসে, তা হলো, হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল এক ছোট্ট শিশুর দুরন্তপণা, যে শিশুর চোখগুলো হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথাভর্তি অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব- যে মুখাবয়ব ভালোবাসা ও মায়ায় মাখা। ’

উল্লেখ্য, শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এ দিনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেলও। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকরা তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।  

news24bd.tv/হারুন