এক বছরের মধ্যেই নিশ্চিত মন্দার কবলে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি

সংগৃহীত ছবি

এক বছরের মধ্যেই নিশ্চিত মন্দার কবলে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি

অনলাইন ডেস্ক

প্রথমে করোনা মহামারি ও পরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। যা থেকে বাদ যায়নি বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়িয়েই চলছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক।

তবে এতেও কাজ হচ্ছে না। পরবর্তী ১২ মাস অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিশ্চিত মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচার মাধ্যম আরটি।

প্রতিবেদনে আরটি জানায়, ব্লুমবার্গের দুই অর্থনীতিবিদের দ্বারা প্রণীত একটি অর্থনৈতিক মডেল অনুসারে, আগামী এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দায় পড়ার শঙ্কা শতভাগ নিশ্চিত।

১৩টি নির্দিষ্ট আর্থিক সূচকের ওপর ভিত্তি করে এ মডেলটি তৈরি করেছে ওই অর্থনীতিবিদেরা। এর থেকে আরও খারাপ খবর হলো- দৃশ্যত মন্দা পূর্ভাবাসের চেয়েও তাড়াতাড়ি আসতে পারে।

ব্লুমবার্গের দুই অর্থনীতিবিদের মডেল অনুসারে, ১১ মাসের মধ্যে ৭৩ শতাংশ ও ১০ মাসের মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মন্দার কবলে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

পূর্বাভাসটি বাইডেনের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত সংবাদ হবে, কারণ তিনি বারবার বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মন্দা এড়াবে এবং যদি হয়েও যায় তা খুবই সামান্য আকারে হবে। বাইডেন প্রশাসনর অধীনে মার্কিন অর্থনীতি শক্ত অবস্থানে রয়েছে এমনটাই আমেরিকাদের দেখাতে চাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট।  

তবে ব্লুমবার্গের এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেননি  অনেক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।  

এক মাস আগে মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে আরেকটি পূর্ভাবাস দিয়েছিল ব্লুমবার্গের ৪২ অর্থনীতিবিদ। ওই সময় তারা জানায়, আগামী ১২ মাসে মন্দায় পড়ার শঙ্কা রয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। তবে তাদের পূর্ভাবাসটি আগের তুলনায় আরও প্রকট হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, চলতি বছরের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতি ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত মন্দায় পড়ার সুযোগ রয়েছে।

ব্লুমবার্গ বলছে, চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর জেরে সুদের হার বাড়িয়েই চলছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সামনের নির্বাচনে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভোটারদের প্রধান দৃষ্টিতে রয়েছে। এমতাবস্থায় ভোটারদের নিজেদের দিকে আনতে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বাইডেন চাকরির বাজার আরও প্রসারের চেষ্টা করছেন।

news24bd.tv/মামুন