সাধারণের মাঝে অসাধারণ ছিল শেখ রাসেল

শেখ রাসেল

সাধারণের মাঝে অসাধারণ ছিল শেখ রাসেল

অন্তরা বিশ্বাস

বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ (১৮ অক্টোবর)। সরলতা, নীর্ভিকতা আর দুরন্তপনার মিশেল ছিল শেখ রাসেলের ছোট্ট জীবনে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের গুলিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন শেখ রাসেলও।  

রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও নিজে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেত।

রান্নাঘরে গৃহকর্মীদের সঙ্গে বসে ভাত খেতে পছন্দ করত। বাড়িতে কবুতর পালা হলেও কখনো কবুতরের মাংস খেত না। গ্রামের বন্ধুদের জন্য পোশাক নিয়ে যাওয়ার বায়না ধরত। এমন অনেক ঘটনা বলে দেয় ছোট্ট শেখ রাসেল ছিল সাধারণের মাঝে অসাধারণ।
তার সরলতা আর নীর্ভিকতা মুগ্ধ করত চারপাশের মানুষকে।

১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর। ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করে শেখ রাসেল। ভীষণ দূরন্ত ছিল সে। মাত্র দেড় বছর বয়সে মায়ের কোলে চড়ে কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যেত রাসেল।

বাড়িতে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বড় হচ্ছিল রাসেল। রাস্তায় মিছিলের স্লোগান শুনে বাড়িতেই  স্লোগানগুলো আওড়াতো।  শিক্ষকের কথামতো অঙ্কও কষতো বেশ। তার কথার মাঝে ফুটে উঠত বুদ্ধিদীপ্ত ভাব।

শেখ রাসেলের খালাত ভাই শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, রাসেল বেঁচে থাকলে রাজনীতিতে অনেক ভালো করতো।  
 
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেদিন মাত্র ১০বছর ১০ মাস বয়সী শেখ রাসেলও রেহাই পেল না। তাকেও হত্যা করল ঘাতকেরা। মৃত্যুর আগে শেখ রাসেল তার বড় বোন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যেতে চেয়েছিল। বাড়ির সবাইকে মৃত দেখে রাসেল ঘাতকদের বলেছিল’ আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন। ’

ছোট্ট রাসেলের সঙ্গে ঘটা সেই নির্মম ঘটনা আজও বাঙালির চোখ ভেজায়।

news24bd.tv/ইস্রাফিল